আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান ২ আসামী গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২

## রাবেয়া সুলতানা,,  (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন ঘাগুরদুয়ার গ্রামের মোছাঃ শাহানারা (৩৯) এই মর্মে বগুড়া শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ২৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখ তাদের বসতবাড়ীতে ডাব গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে ধৃত আসামীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.১০ ঘটিকায় তার স্বামী শাহিনুর শিবগঞ্জ থানাধীন রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ঘাগুড়দুয়ার গ্রামস্থ মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার পৌছালে পূর্ব সূত্র ধরে ধৃত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোহার রড, গাছের ডালপালা দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়াতে ভর্তি করায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯/০৩/২৪ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ থানার মামলা নং-৫৫, তারিখ ৩০/০৩/২৪ ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/ ৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে। এর প্রেক্ষিতে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত( ১৪ এপ্রিল) রোববার ২০২৪ ইং তারিখ ২২.৩০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন র‍্যাব সদস্যরা। র‍্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন  উভয়ের জেলা বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার  ঘাগুর দুয়ার এলাকার মো: ইসমাইল হোসেন (চান মিয়া) এর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫০), এবং অপর গ্রেফতারকৃত আসামী  হলেন শাহজাহানপুর থানাধীন আড়িয়া  বাজারে অভিযান চালিয়ে একই তারিখ ২৩: ২০ ঘটিকার সময় মো: শহিদুল ইসলাম এর ছেলে মো: মেহেদী হাসান (২২)  জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ ২৩.২০ ঘটিকায় শাজাহানপুর থানাধীন আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মেহেদী হাসান (২২), , জেলা- বগুড়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।