আশীষ কুমার দত্ত এর ২টি কবিতা
জানি একদিন
জানি একদিন
থাকবে না কোনো বটবৃক্ষের ছায়া
আমি তখন অনেক দূরের যাত্রী
দাঁড়িয়ে আছি কোনো নদীর মোহনায়
নদীর সীমানা শেষে শুরু সমুদ্রের বুকে পথচলা
অনেক কথা নিয়ে বুকে; কতো কিছুই তো হয়নি বলা।
হয়তো তখন এক আধফোঁটা কুঁড়ি ফোটার অপেক্ষায়
ভোরের কুয়াশায় ভিজাবে নিজে তাই ভোরের প্রতীক্ষায়
হয়তো তখন একটি ফোঁটা পদ্ম সবুজ পাতার সাথে রয়েছে ভেসে
নীল জলের বুকে হাল্কা হাওয়ায় জলতরঙ্গে করছে খেলা হেসে হেসে
দূর বহুদূর থেকে আমি হাত নাড়াই
ওদের দিকে হাসিমুখে গভীর ভালোবাসায়
অনেক দিনের সঙ্গী ওরা তাইতো ফিরে ফিরে
বারে বারে ছবিগুলো মনে পড়ে যায়।
জানি একদিন হাঁরিয়ে যাবো দূরের ঐ আকাশটাতে
তখন হয়তো সন্ধ্যেবেলা হয়তো দূরে দাঁড়িয়ে কেউ
একখানি আকাশ প্রদীপ হাতে
বলে যেন চলে এসো গড়িয়ে গেলো বেলা
অনেক কিছু দেখা শেষে চলো এবার বাড়ি ফেরার পালা
আমি বলি আরো অনেক কিছু দেখা রইলো বাকি
তাই চোখ দু’টি থাক খোলা
দেখো সঙ্গে কিছু নেই তাইতো বুকের কাছে দেখো
আমার হাত দু’টো মেলা
অনেক দিনের খেলা শেষে এবার দূর অজানায়
হঠাৎ করে হাঁরিয়ে যাবার পালা।
২৫.০৪.২০২৪ইং
++++++++++++++++++++
দেখো আকাশটাকে
ও মা, আকাশপানে চেয়ে দেখো
কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে
আকাশজুঁড়ে কতো তারা!
দেখতে কেমন মিষ্টি লাগে।
ও মা, তোমার কোলে শুয়ে শুয়ে
দেখবো আমি আকাশটাকে।
মাগো, তাকিয়ে দেখো চারিদিকে
সবাই যেনো হাসিমুখে তাকিয়ে আছে
পূর্ণিমার রূপোলী চাঁদের আলো গায়ে মেখে।
মা গো, দূর আকাশের চাঁদের মতো
তোমার মুখেও মিষ্টি হাসি
মমতাময়ী মায়ের স্নেহ মেশানো দুই চোখের তারায়
যেন একটাই সুর সোনার জন্য ভালোবাসা রাশিরাশি
ও মা, দাওনা মাথায় হাত বুলিয়ে
একটুখানি ঘুমিয়ে পড়ি স্বপ্ন দেখি ঐ চাঁদ তারাদের নিয়ে।
স্বপ্নে দেখি হাঁটছি আমি একাএকা ঐ চাঁদ তারাদের দেশে
আমাকে দেখে কতো পরীর দল উড়ে বেড়ায় চারিপাশে
কেউ এসে হাত ধরে কেউ জড়িয়ে ধরে
তখনই জানো মা হঠাৎ করে তোমার কথা মনে পড়ে
ঐ আকাশের থেকে চেয়ে দেখি তুমি একলা বসে বাড়ীর দাওয়ায়
তুমি যে আমার খোলা আকাশ ঝাঁপিয়ে পড়ি তোমার কোলে
তাইনা দেখে তুমি হেসে বলো
ওরে আমার সোনার চাঁদ তাড়াতাড়ি বুকে আয়।
২৩.০৪.২০২৪ইং