মুকুল গাঙ্গুলী এর ২টি কবিতা
নিখোঁজ
আমারে যে ভালো বোঝে সে তো শুধু তুমি
তুমি ছাড়া ছন্নছাড়া আমি; আমার জীবন মরুভূমি।
যদি পারো নিয়ে এসো মরূদ্যানের খোঁজ
নাহলে দেখো আমি একদিন হবো সত্যিকারের নিখোঁজ।
একবার নিখোঁজ হলে আর ফিরব কিনা আমি
সে তো আমার থেকেও ওগো ভালো বোঝো তুমি।
প্রিয়া! যদি আমি হই নিরুদ্দেশ খোঁজ নিয়ে দেখো আমার
নাহলে তোমার মনে শুধুই বাড়বে বেদনা জুটবে হাহাকার।
সূর্য অস্ত হলেও পরে আসে আবার নতুন সকাল
আমি অস্ত গেলে যে গো আর ফিরব না চিরকাল।
দেখবো না আর নতুন সকাল আলো-আঁধারির খেলা
ছিন্ন করে চলে যাবো ভেঙে সহস্র নিয়মের বারো বেলা।
++++++++++++++++++++++++++++++++++
রৌদ্রতাপ
একটি কুঁড়ি দু’টি পাতা
এসো ভরা রৌদ্রে নিই ছাতা
সঙ্গে যেন থাকে খাবার জল
না হলে জীবন হবে টলমল।
দিন-দিন রৌদ্রের বাড়ছে তাপ
জনজীবনে তার পড়ছে ছাপ।
রৌদ্রতাপ এমনই-
প্রতিনিয়ত শুষ্ক হচ্ছে জলাভূমি।
রোদ গরমের তাপে-
জীবজগৎ যেন পুড়ছে অভিশাপে।
ঠিক যেন দুপুরে-
যায় না বেরোনো বাড়ির বাইরে।
অগত্যা না থাকলে উপায়
বাইরে বের না হয়ে কি যায়।
পেটের দায়েই বেরোনো
বেরিয়ে হচ্ছি শুকনো।
জল খেয়ে পাচ্ছি না শান্তি
আসছে শুধুই ক্লান্তি।
গায়ে ঢেলে তিনবেলা জল
তবুও বাড়েনা মনোবল।
কোন কাজেই বসেনা মন
রোদ গরমে মানুষ উচাটন।
এমন গরম আর লাগে না ভালো
শুধুই জীবন হচ্ছে কালো।
খেয়েও দেহ-মনে নেই শান্তি
শুধুই মানসিক-দৈহিক অতৃপ্তি আর অশান্তি।
বৃষ্টির নেই ছিঁটেফোঁটা-
শুধুই রৌদ্রতাপের ঘনঘটা।
এসব মানুষেরই সৃষ্টি উষ্ণ বিশ্বায়নের ফল
তাইতো মানুষ ভুগছে এমন ভাঙছে মনোবল।
প্রাণ বাঁচাতে সব জীবন ও জগৎই কাতরাচ্ছে অবিরত
কত জীবন যাচ্ছে ঝরে অকালে শত-শত।
সূর্যমামা! এবার তোমার কমাও খানিক তেজ
যদি কিছু বা প্রাণ প্রাণে বাঁচুক খানিক অবশেষ।