হুমায়ুন মোহাম্মদ এর ৩টি কবিতা
এসো বৃষ্টি
আনন্দ বানে
বৈশাখ ডেকে এনে
গরমের উৎপাতে
স্বস্তি নাই ধরাতলে
সবাই বলে
বৃষ্টি কোথায় বৃষ্টি!
এক পসলা বৃষ্টি চাই
শীতল পরশে
প্রাণ জুঁড়াবো ভাই;
গগনে মেঘ হয়ে
বাতাসে বয়ে
রঙধনুর সাত রঙে
সেজে অনুপম ঢঙে
রিমঝিম গান করে
নেমে এসো ধরে
খোলা মাঠে গিয়ে
তোমায় চুমু দিয়ে
শুষ্ক ওষ্ঠ ভিজাবো
ফোঁটা ফোঁটা জলে
গোসল করে
দেহ মন জুড়াবো;
তাড়াতাড়ি এসো বৃষ্টি
আমাদের প্রতি দাও
সদয় দৃষ্টি।
২১-০৪-২০২৪ইং
++++++++++++
ভালোবাসবো তারে
ইদানীং শুনি কতকে বলে
দার্শনিক জ্ঞানী গুণীর ছলে।
অন্যকে ভালোবাসার আগে
নিজেরে ভালোবাসুন নিজে।
ফেইসবুকে ছবি দিয়ে রাখে
অনেক আবেদনময়ী সাজে!
তাহলে নিজেরে ভালোবেসে
ছবি দেয় নাকি ভালোবাসাতে!
তাই এসব কথা আসেনা কাজে
গোলকধাঁধা ছড়ায় সমাজে।
নিজেকে ভালোবাসবো কেমনে
দেখি না নিজেরে নিজ নয়নে।
উপলব্ধি স্পর্শে দেহ দেয়ালে
আপন মনের নিবিড় খেয়ালে।
তাই ভালোবাসবো সে জনেরে
দুই নয়নে ভালো লাগে যারে।
পুষ্প দিতে ইচ্ছে করে অন্তরে
এলো চুল গুছিয়ে খোঁপা করে।
যার আচরণ কথাবার্তা চলাফেরা
একটুখানি প্রশান্তি দেয় অন্তরে।
থাকনা সে নিজ দেশের ভিতরে
বিদেশে বা কাঁটাতারের ওপারে।
২৫-০৪-২০২৪ইং
+++++++++++++++++++
তিশা খুঁজে নেবো
সাত বৈশাখ চৌদ্দ শ একত্রিশ সনে
কন্যার বিদায় লগনে
ঢাকা সদরঘাট যাই
উঠতি যৌবনে বুড়িগঙ্গার সনে
স্মৃতি রোমন্থন করে বেড়াই
এখন আর সেই পরিস্কার জল নাই
শুধু পঁচা দুর্গন্ধ পাই।
দক্ষিণা নির্মল বাতাসে গন্ধ ছড়াচ্ছে
ছিল ছোট ছোট কয়েকটা টার্মিনাল
এখন এক কিলোমিটার একটা টার্মিনাল
সিসি ক্যামেরার কারণে
চোর বাটপার গেছে কমে
পঁচিশটি প্লাটুনে বিভক্ত
দেখে আবার হয়ে পড়ি আসক্ত।
সারাক্ষণ জলযান আসা যাওয়ায় ব্যস্ত
যাত্রীগণ ওঠানামায় তরস্ত
ছোট ছোট নৌকাগুলো করে পারাপার
এপার থেকে ওপার।
ষাটের পর এখন অবসর আমার
সদরঘাটের সনে বন্ধুত্ব গঁড়বো আবার
বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করবো
আমি মুস্তাক হবো
জিঞ্জিরায় তিশা খুঁজে নেবো
ছোট্ট নৌকায় চড়ে দু’জনে বেড়াবো।
২২-০৪-২০২৪ইং