মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানি এর ২টি কবিতা
আগুনের তাপদাহে নারী
আগুন- আগুন আজ চারিদিকে আগুন
প্রচন্ড তাপদাহে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হায়
কিচেন রুমে প্রতিনিয়ত পুড়ছে নারীরা
নিজের জীবনে একটু স্বস্তি নাহি পায়।
নারী- তুমি রুদ্রে পুড়ছো আগুনে জ্বলছো
পুড়ে পুড়েই সোনার মতোই হচ্ছো খাঁটি
পরিবার-পরিজন ও নিজেকে সামলাও
সামলাও কর্মস্থল যদি হও কর্মজীবী।
আচ্ছা বলোতো- দিন-রাত খেটেখুটে
সত্যিকারের মান-সম্মান পাচ্ছো কিনা?
যদিও হাতেগুণা রয়েছে চার পাঁচজন
বেলা শেষে পাচ্ছে হয়তো প্রকৃত মর্যাদা।
এই খরায় বাদলে করোনায় জলোচ্ছ্বাসে
সবখানে প্রবাহমান আজ নারী নির্যাতনে
নারীরা কেউ কেউ তীব্র তুচ্ছতাচ্ছিল্য হচ্ছে
যেনো- ঐ কালবৈশাখের প্রচন্ড তাপদাহে।
বেতন ভাতা চাচ্ছে না তাঁরা চাচ্ছে কেবল
আপনজনদের হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসা
পরিবারের প্রতি অসামান্য আত্মত্যাগের
বিনিময়ে রাখেনা মনে আর কোনো প্রত্যাশা।
২৪-০৪-২৪ইং, রয়েল হসপিটাল, ঝাউতলা, কুমিল্লা।
++++++++++++++++++++++++++++++++
কাঁটার জ্বালায় ফুলের মালা
ওরে মানিক ওরে হিরা ওরে আমার সবুজ পান্না
তুই যে মোর নাড়িছেড়া ধন তুই যে চোখের তারা।
দূর দূরান্তে থাকিস জাদুরে দুঃখিনী মাকে রেখে একা
তুই বিহনে কলিজা পুড়ে ছাঁই স্থির থাকেনা প্রাণটা।
নিশিদিন তোরে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত শ্রান্ত ও নিরাশ
অনাদরে দিন শেষে লোকচক্ষুর অন্তরালে বিলাপ।
হাজার দোষে দোষি আমি হঠাৎ নদীর পার ভাঙ্গনে
ভাগ্যটা তলিয়ে যাচ্ছে জোয়ার ভাটার ঢেউ এর পরে।
ডুবন্ত এ হাতটি আজও কেউ আসেনা উপরে উঠাতে
কে শুনে কার করুণ গাঁথা দৃষ্টি পড়ে তাই বদনজরে।
পঁচা শামুকে পা কাঁটবে কে; জেনেশুনে আপন মনে?
ভাইরাসে সংক্রমিত হতে হয় যদি পাশ কাঁটিয়ে চলে।
ফুলের পাঁপড়ি মুক্তোর মালায় সাজাইনি মোর গলে
আগুন নিয়ে খেলায় মেতে অট্ট হাসিতে তুফান তুলে।
রাতের আঁধারে ঠেলে দিয়ে অঙ্গরাজ্যে আটকে রাখে
মাতাল নৃত্যে জড়িয়ে থাকে কারো জীবন জ্বালিয়ে!
দূর্গন্ধে ভরা পথের ছাউনি কাঁপা কাঁপা হৃদ মন্দিরে
অতল তলে তলিয়ে মোর সোনার স্বপ্ন ছোঁয়া ভাঙ্গনে।
হয়তো তারা আনন্দে লুটাচ্ছে পরম সুখের উল্লাসে
আমাকে খানিকটা দুঃখ দিয়ে থাকবে কিনা উচ্ছ্বাসে?
খাঁচার পাখিকে বন্দী রেখে আমায় যেমনে কাঁদালে
সেই কান্নাতে শত্রু পক্ষের যেনো না হয় বুক ভাসাতে!
২১-০৪-২৪ইং, পিডিবি কলোনি, জাঙ্গালিয়া, কুমিল্লা।