আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর ৩টি কবিতা

ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর ৩টি কবিতা

জিপসি মেয়ে

জিপসি মেয়ে নদীর জলে
কলসি ভরে প্রেমের ছলে
জলে তার ছায়া যেন হেলেন অব ট্রয়
লক্ষ টাকার গহনা করেছে ক্রয়!

স্বর্ণোজ্জ্বল গাত্র যে তার
পথিক তাকায় ফিরে বার-বার
সোনালী কেশবহুল গ্রীবায় স্বর্ণালংকার
নদীর ঢেউ মারে উঁকি ছায়া তার জলের বিকার!

সুবর্ণ মুখখানি গ্রিক দেবী আফ্রোদিতি
রূপের ছটায় পাগল হয়ে পর্যটকদের ইতিউতি
বেআব্রু বিদেশিনী দেখে চেয়ে
এমন কাচন গাত্রবর্ণ ভারতীয় কেমনে গেলো পেয়ে?

হরিণীর চকিত চাহনি চোখে মেয়ে
নদীর জলে কলসি কাখে যাবে নেয়ে
তাকে দেখে ঢেউয়ের গর্জন গেছে থেমে
জিপসির রূপ স্রোতে বানে স্রোত গেছে ঘেমে!

আঁখির ঠারে তার ছিনালি বিষাদ
তুষার কুমারী সে উপভোগী সব আস্বাদ
যৌবন থরথর ভরা কূল কলন্দর
শুভ্র উর বস্ত্রে ঢেকেছে তার কঠিন অন্তর!
১০.০৪.২০২৪ইং

+++++++++++++++++++++++++

ভুলতে চাই

আমি ভুলতে চাই তোমায়
সব স্মৃতি ফেলতে চাই মুছে
তোমার সাথে ঘর বেঁধে তিক্ত অভিজ্ঞতায়
ভালোবাসার সাধ গেছে ঘুচে!

প্রণয় জীবন ছিলো মধুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে
সারাদিন তুমি আর আমি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে টিএসসি মোড়ে!

ঘর বাঁধার স্বপ্নে থাকতাম
তুমি আমি উন্মাদ অলীকত্বে বিভোর
আমি রাধা ডাকতাম তোমায় গোপাল সারথি
নিদ্রাহীন যামিনী এপিঠ ওপিঠ করে হতো ভোর!

সংসার পেতে দেখলাম তোমার
নগ্ন এক ক্লেদাক্ত বিকৃত চেহারা
সপ্তাহ মাসে করলে আমায়
অতিষ্ঠ বিতৃষ্ণ হতবাক দিশেহারা!

বিষে নীল হতাম তোমার ওষ্ঠের আদরে
কথা ছিলো লজ্জা পাবে গোবিন্দের ভালোবাসা
ভালোবাসার বৈকুন্ঠে ভালো থাকতে চেয়েছিলাম
সংসার জীবন কুহকিনী বিষবৃক্ষ সব আশা!

ভালোবাসা এলোনা আর নারীর মুঠোয়
সন্তান পালন হেঁসেল নির্ঘুম নিশি যৌন অত্যাচার
অধরাই রয়ে গেলো মরিচিকা ভালোবাসা
রাধার আকাঙ্খা পদতলে নিষ্পেষিত করলো অসুর শিষ্টাচার!

বৈধ স্বামী-স্ত্রী তবুও তুমি ভিলেন আমি ক্লান্ত ম্রিয়মাণ
তোমার স্মৃতি ভুলে কোরা কাগজ চিত্ত চাই আমি
হতে চাই স্বাধীন সার্বভৌম নারী নয় মানুষ
কস্মিনকালেও তোমা মুখী হবো না স্মৃতিতে থাকতে হুশ!
০৯.০৪.২০২৪ইং

+++++++++++++++++++++++++

পাগল কয়!

গোলাপটা বাড়িয়ে দিলাম নিরবতা ভেঙ্গে
একটু শুধু ভালোবাসার প্রত্যাশায়
এত তাড়াতাড়ি প্রত্যাখ্যাত হবো আমি
দেইনি গোলাপ সেই আশায়!

বেকুবের মত ব্যর্থ প্রস্তাবে ক্ষত-বিক্ষত মন
গুমোট পরিবেশ চারিদিকে এখন
নিরব নিস্তব্ধ ঘর সে আমি দু’জনা শুধু
কি বলবো- আবার প্রস্তাব দেবো ভাবছি তখন!

হৃদয় পরাগ উড়তে লাগলো নীরানন্দ ঘরে
নিষ্ঠুরতা আমাকে করলো অবাক বিষ্ময়
মনের অখিলে জমতে লাগলো বসন্তের মেঘ
আমার দারিদ্রতা পেশা তার অপছন্দ নিশ্চয়!

নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে মুখ খুললো সিবন্তী
আমি আপনাকে দগ্ধাভূত করতে চাই নাই
আমার আপনাকে ভালোলাগে সংসার নয়;
প্রেম করতে আপনার ফুলের মালা হাততালি
প্রশংসায় চলে! আমার চাই গাড়ী বাড়ী বিলাস!

আমার ঝলমলে জীবন চাই কাব্য কবিতা
সাহিত্য ছাইপাঁশে জীবন চলে না
শত নারীর প্রেম প্রস্তাব পাবেন
প্রজাপতির আগমন ঘটবে বিছানায়!
আমার আচরন নির্মম আসক্তিহীন ভাববেন না
রূঢ় বাস্তবতা এদেশে আপনাদের মত
কবি সাহিত্যিকদের পাগল কয়!

আজ সে বাংলো মাকান ফ্ল্যাট ইন্ডাস্ট্রির মালিক
স্বামী থেকে ডিভোর্স হয়ে ও উচ্চ সমাজ সিংহাসনে আসন!
পড়ে আছি সেই তিমিরে পান্ডুলিপি আর প্রকাশের দ্বারে
দারিদ্রতা হয়তো পূর্বপুরুষ কবি-লেখকদের থেকে পাওয়া
আজও আমাদের ফ্যাশান!
১০.০৪.২০২৪ইং