আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

মৌলভীবাজারে হযরত শাহ্ কালা (রহঃ) এর ২১৮তম উরুস মোবারক ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সম্পন্ন

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের নিতেশ্বরে হযরত শাহ্ কালা (রহঃ) দরগা শরীফের ২১৮তম বার্ষিক পবিত্র উরুস মোবারক চিরাচরিত প্রথানুসারে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) পুরাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী ২২ মাঘ এ উপলক্ষে বাদ যোহর মিলাদ মাহফিল, জিয়ারত, তবারুক বিতরণ, আতর গোলাপ ও সুগন্ধি ছিটানো, চান্দোয়া টাঙানো, গিলাফ ছড়ানো, মাজারের সাজসজ্জা, আলোকসজ্জাকরণ, সন্ধ্যায় চেরাগবাতি প্রজ্জ্বলন, সারারাত ব্যাপী জিকির-আযকার, মিলাদ মাহফিল, খতমে কোরআন এবং বাদ ফজর বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে উরুসের সমাপ্তি করা হয়।

উরুস উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত-মুরিদান ও আশেকান-মুহিব্বানরা এসে জড়ো হন। দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা শেষে রাতে ভক্ত আশেকানদের নিয়ে খানকাহ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর রাতে বাউল শিল্পীদের ভাবভক্তিমূলক মুর্শিদী গান পরিবেশন করা হয়নি।

হযরত শাহ্ কালা (রহঃ) দরগা শরীফের ২১৮তম বার্ষিক পবিত্র উরুস মোবারক উপলক্ষে মাজার সংলগ্ন মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় দিবারাত্রব্যাপী রকমারী প্রসাধনী নিয়ে বিভিন্ন বণিকরা পসরা সাজিয়ে দোকান খোলে বসেন। মাজার জিয়ারত, মেলা দর্শন এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করতে জেলার বিভিন্ন স্থান হতে হাজার হাজার নানান বয়সী নারী-পুরুষ ভীড় জমায়।

জানা যায়, হযরত শাহ্ কালা (রহঃ) দরগা শরীফের পবিত্র উরুস মোবারক উপলক্ষে মাজার সংলগ্ন মাঠে দুইশত বছর ধরে এই মেলা চালু হয়ে আসছে। স্থানীয়ভাবে কালা শাহ্ এর মেলা নামে তা পরিচিতি লাভ করে। মেলা ও উরুস উপলক্ষে আশেপাশের গ্রামগুলোতে মেয়ে-জামাতা সহ আত্মীয়-স্বজনরা মেলা বসার আগেই বেড়াতে আসেন।

মেলায় সাংসারিক কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন সামগ্রী, রকমারী জিনিসপত্র, মিষ্টান্ন ও প্রসাধনির সামগ্রীর দোকান বসে। মাজারের খাদিমরা এ মেলার আয়োজন করেছিলেন। মেলাটি মূলত দিবারাত্রব্যাপী হলেও স্থানীয়ভাবে এর আনন্দের রেশ থাকে বেশ কয়েকদিন ব্যাপী।

হযরত শাহ্ কালা (রহঃ) এর সকল ভক্তবৃন্দের উরুস মোবারকে যোগদান করে পবিত্র উরুস মোবারককে সফল ও স্বার্থক করার জন্য সকল ভক্ত-মুরিদান, আশেকান-মুহিব্বান ও মিডিয়াকর্মীদের প্রতি মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জৈন উদ্দিন আহমেদ জনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।