মোঃ সোহেল এর ২টি কবিতা
বৈশাখী উত্তাপ
চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদ্রকে উপহাস করে
বৈশাখকে বরণ করতে সবে ব্যস্ত যখন
বিধাতা কেন যেন ব্যঙ্গ করে তখন।
বিধাতার অঙ্গুলি ক্ষেপন লক্ষ্য নিয় বটে
বড়োলোকের উল্কি বাজানো দেখা মেলে
গরিবের ঘর্মে দেখা মেলে হালালের ছাপ
বড়োলোকের দোরগোড়ায় হারামের দাগ।
গরীবের পান্তাভাতে ঘিয়ের ঢেকুর
বড়োলোকের ঘিভাতে ছাইয়ের মুগুর।
সব জায়গায় বৈশাখী উত্তাপ
আমরা এ থেকে চাই পরিত্রান।
২২.০৪.২৪ইং
++++++++++++++++++++++++++++++++
শেষ দেখাটা হলো না
(উৎসর্গ-মা, জননী, মাতা, মমতাময়ী হাজেরা বেগম)
উনি আমার মা দেবতার ছায়া
উনি আমাকে জন্ম দেয়নি হয়তো
কিন্তু নতুন জীবন দিয়েছে।
তার উছিলায় কতো মানুষ জীবনের ছন্দ পেলো
কতো মানুষের জীবন রঙিন হলো।
আজকের এই দিনে একটি ভালো মানুষের মৃত্যু হলো
আল্লাহর প্রিয় বান্দা তার ডাকে সারা দিয়ে গেলো।
তিনি মমতাময়ী মা সবার
আমার মনিকোঠায় রয়েছে
তার মতো হেমাঙ্গিনী দ্বিতীয় আর নেই।
জগত আলো করে নিজে থাকে অন্ধকারে
তিনি কায়া তিনি মায়া তিনি জগৎজননী
তার মতো মহীয়সী জগতে বিরল।
একটি তারকা একটি নক্ষত্রের পতন হলো
তিনি অবিনশ্বর তার কোন মৃত্যু নেই।
তিনি রবে আমাদের অন্তরে
আমরা যতোদিন বেঁচে থাকবো তার স্মৃতি ধরে রাখবো
আমাদের মরণের পর রবে আমাদের প্রজন্মের তরে
দিগবিজয়ী তিনি; তিনি জগতের মহারাজার আসীন
জগদিশ্বর তাঁকে করুন পরোকালে মহাকৃপার তরে
তাঁকে বেহেশতের শ্রেষ্ট মাকাম দান করুন।
১৯.০৪.২৪ইং