আব্দুল মান্নান এর ৪টি কবিতা
নদীর চরে ভ্রমন
শীতের সকালে আমরা ক’জনে মিল
বাহির হলাম রূপসার চর ভ্রমনে
হালকা কুয়াশা কেঁটে সোঁনালী রোদে
আড্ডা হলো গরম চায়ে চুমুকে।
নদীর মাঝে মধ্যে চরে সরিষা ক্ষেতে
সরিষার মাঝে বসে বন্দী ফ্রেমে
পরন্ত বিকালবেলা লাল সূর্য্য পানিতে
উকি মেরে চেয়ে আছে গোলাকার বৃত্তে।
হাতের ভিতর নিয়ে তাকে ছবি করে রাখি
এমন দৃশ্যপট কেমনে ভুলে থাকি
ভুট্টা ক্ষেতের বাহার তুলে নিয়ে ছবি
কাশবনে লুকোচুরি খেলি।
মাঝ নদীতে বালুর চর বিশাল আকৃতি
বালু চরে মোটরসাইকেল চলছে শত
প্রাণপাখি উড়ে যায় দ্রুত গাড়ির টান
এই বুঝি হাঁরালাম মোদের দু’টি প্রাণ।
তবুও প্রাণে শান্তি নৌকায় চড়ে
শীতল বাতাসে পাখির কলতানে
কাশবনে হাঁরিয়ে গেলাম অজান্তে
আপন মনে খুশিতে নেচে।
০৯/০৪/২০২৪ইং
+++++++++++++++++++++
অচল পয়সা
আমি অসহায় জ্যন্ত মরা
মুল্যহীন অচল পয়সা
আমি পোড়া কালো ছাই
অনাদরে পড়ে আছি তাই।
মুল্যহীন সংসারে শুধু আমি
সয়ে যাই শত যন্ত্রণা
স্বাধীন মনে থাকে ওরা খুশি
আমার হৃদয়ে বিড়ম্বনা।
আমার আঙিনায় খুশির মেলা
কখন যে জমে গেছে
জানিনা প্রভূ করে অবহেলা
আমায় দেখেনা চোখে।
আপন খুশিতে চলছে সবে
আমায় মুল্যহীন ভেবে
সুখী থাকো তোমরা ভূবনে
থাকবো নিরবে কষ্ট সয়ে।
আঁধার রজনীতে বসে
চিন্তার অতলে ডুবে
অতীত স্মৃতি জাগবে
পরবে আমায় মনে।
০৮/০৪/২০২৪ইং
++++++++++++
কুয়াশার চাদরে
শীতের সকালে
গিয়েছিলাম গাঁয়ে
খই গুড় নিয়ে হাতে
মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে।
ছোটবেলার স্মৃতি
জেগে ওঠে মনে
হাঁরানো দিনগুলি
স্মৃতি হয়ে কাঁদে।
বাড়ির আঙিনায় বসে
কুয়াশার চাদরে
টিপটিপ শব্দ চালে
বৃষ্টি যেন অঝোরে।
আগুনের কুন্ডলি জ্বেলে
গায়ের বৃদ্ধ মিলে
তবু কাঁপন নাহি ছাড়ে
কনকনে শীতে।
ধুম পড়ে দুধ পিঠে খেতে
পরিবার পরিজন মিলে
গরীব দুঃখী কষ্টে কাঁটায়
শীতবস্ত্র বীনে।
০৭/০৪/২০২৪ইং
+++++++++++++++
চোখে অশ্রু বহে
হাঁরিয়ে গেছে জীবন হতে
হাজার রকম স্মৃতি
ভেলায় করে জলের স্রোতে
ছিলাম কত খুশি।
ছিপ জালে মাছ ধরতে
ভেলা নিয়ে আমি
জাল তুলতে ছুটাছুটি
পুটি মাছের লাফালাফি।
বর্ষাকালে বাড়ির পাশে
নৌকা আসতো ঘাটে
পাল তোলা নৌকা দেখে
যেতাম দৌড়ে ছুটে।
মাল্লারা সব মধুর সুরে
গাইতো জারি গান
নাটাই নিয়ে কাঁধে করে
গুনে মারতো টান।
আজ সব হাঁরিয়ে গেছে
শুধু স্মৃতিপটে
অতীত স্মৃতি মনে হলে
চোখে অশ্রু বহে।
০৫/০৪/২০২৪ইং