সরদার সাকিব আহমেদ এর ৪টি কবিতা
ধরার চড়ায় লাগুক ফাগুন
আকাশ ফেটে এলো গরম
সুর্যটাকে লাগছে শরম
ফুঁসছে যেন সকল জনম
বাঁচাও ওগো স্রষ্টা পরম
কোথা পাব পথ্যি মলম
তাপদাহকে বানাও নরম।
শরীর ঘেমে ভিজলো বসন
জ্বলছে মনে বিষের জ্বলন
জীবনযাত্রা যেমন তেমন
কইছি কথা রাগছি ভীষণ
রৌদ্র তাপে নিঠুর ক্ষরণ
তীব্রতাপে করুন জীবন।
থামরে আহা সুর্য কিরণ
থামরে তাপের জ্যান্ত আগুন
আসুক প্রাণে সুখের স্মরণ
বর্ষা নামুক আষাঢ় শ্রাবণ
শিতল ছায়ায় উড়ক কেতন
ধরার চড়ায় লাগুক ফাগুন।
২৩/০৪/২০২৪ইং
++++++++++++++++++
কেমন করে বাঁচবো মরে
পাপড়ি গোলাপ লালটা ভালো
কোনটা আবার মানায় কালো।
কেউ বা দেখে উপর হাসি
কেউ বা মাপে ভেতর দাসি
কেউ হল গো আলোয় খুশি
অন্ধকারে কেউ বা সুখি।
আযব আযব করবে পরখ
তিতা মিঠার জীবন সড়ক
দিবে দোলা হবে স্বরব
মনের মাঝে ধরবে গরব।
এই ধরনি ছাড়বো না কি?
কত আসল কত বাকি?
অহংকারে দেই গো ঝাকি
স্বার্থকতায় জীবন মাখি।
কেউ হয়েছে ভবঘুরে
কেউ বা হল আলসেকুঁড়ে
সোনার দরে অনেক দুরে
কেউ গিয়েছে ভেঙ্গেচুরে
গাড়ির সারি দালান গঁড়ে
কেউবা গেল প্রণাম কুঁড়ে।
কারো বা গলায় সুরের যাদু
কারো বা গড়ন যগৎ সাধু
কেউ বা দেখি ফর্সা লাল
কেউবা কালো কন্ঠে কাল
কারো হাসি রাঙ্গায় গাল
কারো কথায় ভীষণ ঝাল।
বুদ্ধি মাথায় চিন্তা ঘোরে
যশ হলনা ভাবনা করে
হরেক রকম দৃষ্টি জুঁড়ে
জগৎ ছেড়ে যাইনি দুরে
জীবন গোটা গেল ফুরে
প্রাণটা যখন যাবে উড়ে
কি হবে গো মরার পরে?
হাঁরায় যদি লক্ষ্য ছেড়ে
কেমন করে বাঁচবো মরে?
২২/০৪/২০২৪ইং
+++++++++++++++
স্বার্থক জন্মান
চেখে দেখে চেপে যাই
স্বাদ পেয়ে ঘামে লাই।
ধুৎ বলি থুক্কি
ভাবলেই ব্যাথা পাই।
রং ঢং সং সার
ভাঙ্গাচোরা খোলা দ্বার।
ঢং ধরা দেখে যাই
কাছে থেকে মাখি নাই।
সাক্ষাৎ খাইদাই
শোন বলি ক্ষমা চাই।
জানা শোনা দেখা তাই
এতটুকু ভুলি নাই।
সমাজের কষাঘাত
এক দুই ধারাপাত।
দিন শেষে বাজিমাত
হল সব কুপোকাত।
ঘুনধরা দেহে বাত
নির্ঘুম সারারাত।
ভন্ডমি নোংরামি
মুর্খের চামচামি।
সমাজের সম্মানী
সাক্ষাৎ মহাজ্ঞানী।
সোজাপথ বলি কারে
জানি তবু মানি কে রে?
বক্রতা জমা করে
বাহুডোরে রাখি ধরে।
কামনার উস্কানি
ঘুনেধরা চুলকানি।
লাজ গেল পলকে
নরকের গোলকে।
খুঁজে আন সোজা বান
সিনা যদি থাকে টান।
চোখ মুখ ঢাকি কান
পস্তাতে গেলো জান।
আয় ধরি রাখি মান
গঁড়ে তুলি সু মহান।
সৃষ্টির সম্মান
স্বার্থক জন্মান।
২৫/০৪/২০২৪ইং
+++++++++++++
একদিন ফোঁটে ফুল
একদিন ফোঁটে ফুল
ভরে তোলে দুই কুল
মৌ মৌ গন্ধে
ভরপুর সন্ধ্যে
মনটাকে জয় করে
চোখ যেন নাহি সরে
টুকটুকে লাল মুখ
দেখে মনে লাগে সুখ।
দিন দিন ক্রমাগত
ঝড়ে ফুল অবিরত
মনে ফুল নাড়া দেয়
তারপর ঝড়ে যায়।
যৌবনে যৌবনা
জীবনের সীমানা
বয়সটা গেলে বেড়ে
সব কিছু খসে পরে
দুর্বার জারিজুরি
কামনার বারাবাড়ি
দুর্বল ক্ষয়ে মাড়ি
পড়ে যায় কমা দাঁড়ি।
জন্মের শিক্ষা
জ্ঞান করে ভিক্ষা
থাকবোনা চিরদিন
শোধ করে যাই ঋণ
দিনে দিনে দেই ঋণ
ভালোবাসা অমলিন।
সম্মানে স্মরণে
দেয় ফুল চরণে
জীবনের প্রার্থক
ফুঁটে ফুল স্বার্থক।
ভরে যাক চারিদিক
পুস্পের স্তবকে
সৌরভে পাড়িদেই
জীবনের সড়কে।
২০/০৪/২০২৪ইং