আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» নওগাঁয় পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন «» কমলগঞ্জে এক ব্যক্তি দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে:উত্তোলন করছেন সরকারী বেতন-ভাতা «» বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রী নিহত «» উপজেলা নির্বাচন  – উচ্চ আদালতে তাজুল ইসলাম তাজের প্রার্থীতা বৈধ- সমর্থকদের মাঝে উৎসবের আমেজ  «» মৌলভীবাজার পৌরসভা জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছে- পদক গ্রহণ করবেন মেয়র ফজলুর রহমান   «» নওগাঁয়  চোলাই মদসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী  গ্রেপ্তার  «» বগুড়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠান    «» শ্রীমঙ্গলে অনুর্ধ্ব-১৫ বছরের বালকদের ফুটবল প্রতিযোগিতা «» অর্গ্যানাইজেশন ফর দ্য রিকগনিশন অব বাংলার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. তোজাম্মেল টনি হক এমবিই আর নেই «» মোঃ শাহজাহান খাঁন রাজনগরকে স্মার্ট থানায় রূপান্তর

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এর ২টি কবিতা

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এর ২টি কবিতা

হায়রে অবহেলিত লেখক সমাজ!

মনে পড়ে উনিশশো আটানব্বই সালের কথা!
আমি রাশিয়া থেকে দেশে এসে গিয়েছিলাম
মৌলভীবাজার কবি সালেহ আহমদ (স’লিপক)কে দেখতে।
তরুণ কবি স’লিপক বলেছিলো-
ভাইয়া কি আর বলবো আমাদের সমাজের কথা!
আমরা কবি সাহিত্যিকদেরকে আমাদের আত্মীয় পরিজন
একটা কলম এক দিস্তা কাগজ উপহার দিয়ে
কেউ সাহায্য করতে চায় না! অথচ!
একটা ফুটবলারকে বল জার্সি গেঞ্জি টাকাকঁড়ি দিয়ে
সাহায্য করে শত শত লোক!
শুধু তাই নয়!
সমাজ থেকে যে সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের আশা প্রত্যাশা
সেটুকুও পাওয়া যায় না!
মসকারা! ঠাট্টা!! উপহাস্য বচন!!!
তা পাওয়া যায় পদে পদে!
শান্তনা দিয়ে বলেছিলাম-
এ সব শত সহস্র প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও
তোমাকে এগিয়ে আসতে হবে!

আজকে আমার গর্ববোধ হয়!
সারা দেশের কবি লেখকরা সালেহ আহমদ (স’লিপক)কে
চিনে
তাঁর ছোটবোন মিনারা আজমীকে চিনেন সবাই!
কবি লেখক হিসেবে!

গিয়েছিলাম ক্ষণিকের জন্য নবীগঞ্জের দীঘলবাক গ্রামে
কবি নিলুপা ইসলাম নিলুকে দেখতে!
যার প্রতিটি চিঠি গোপনে গোপনে পাঠ করে করে
অবশেষে আমার গিন্নি বলেছিলেন-
সত্যি-ই মহিলাটি মনে হয় আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা করে!
তাঁর লেখা চিঠিগুলো পড়ে কোন অসৎ উদ্দেশ্য দেখতে পেলাম না!

শেরপুর থেকে লঞ্চে করে দীঘলবাক গ্রামে পৌঁছে
লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম-
কবি নিলুপা ইসলাম নিলুর বাড়ি কোনটি?
মৃদু হেসে দু’একজন বললো- মেম্বারের বউ মনে হয়?
বললাম হ্যাঁ!
তারপর যখন বাড়ি পৌঁছে গেলাম
তখন মহাখুশি নিলু মনি!
বললাম- একঘন্টা সময়!
তারপর ফিরতি লঞ্চে চলে যাবো!

ফুটবলার নুরুল ইসলাম মেম্বার
নিলুর স্বামী একজন বড়মনের মানুষ!
বললেন- তাড়াতাড়ি মাগুর মাছ কেঁটে ভাজা করো
গরম ভাত রান্না করো, লঞ্চঘাটে লোক পাঠাচ্ছি
দশ বিশ মিনিট অপেক্ষা করে নিয়ে যাবে!
নিলু মনি গর্ব করে বলেছিলেন-
সারা সিলেটে স্নেহ করে যে দু’চারজন
আমাকে নিলু মনি ডাকেন
তাদের মধ্যে একজন আমাদের মোস্তাফিজ ভাই!

দীঘলবাকে আমাদের আরেক প্রিয়জনের নাম
শাহ্ মনসুর আলী নোমান!
আগেকার সময়ে আমাদের একটা ছোট্ট নেটওয়ার্ক ছিল
চিঠিপত্র আদান প্রদান!
আমরা সেই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে-ই
আমাদের লোকজনের সাথে সু-সম্পর্ক রক্ষা করতাম।
একে অন্যকে উৎসাহিত করতাম!
সুখে-দুঃখে বিপদ-আপদে পাশে থাকতাম!

সেই ব্রিটিশ আমলে দেখেছি
আমাদের মহাকবি মহাশ্মশান মহাকাব্যের
কাজেম আল কোরেশী কায়কোবাদকে সংবর্ধনা সভায়
চার আনা আট আনা এক টাকা করে সাহায্য যারা যারা করেছেন
কবি তাদের নাম প্রকাশ করে দিয়ে দিয়েছেন তাঁর লেখা
নিবন্ধে।
বর্তমান সময়েও কিছু কিছু লোক সাহিত্যের প্রোগ্রামে
উদার চিত্তে এগিয়ে আসেন সাহায্যের হাত বাড়াতে!
আমি তাঁদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনি একটা যাত্রাগানের আসর জমান
দেখেন- কত কত লোক আর্থিক অনুদান দিতে এগিয়ে আসবে
জুয়া খেলা ও মদের আড্ডা বসাতে!
আপনি লম্বা চিৎকার দেয়া হুজুরের
মডার্ণ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেন
দেখবেন- টাকা আর টাকা!
টাকার যেন কোন অভাব-ই নেই!
কারণ হুজুর চিৎকার দিয়ে
হাতে হাতে বেহেশতে পাঠিয়ে দেন
তাঁর সুন্দর সু-ললিত কন্ঠের দোয়া প্রার্থনায়।

আপনি একটা পবিত্র জিকরে খফি বা
নিরব জিকার আযকার ও গভীরে রাতে
আল্লাহর সান্নিধ্যে লাভের মাহফিল আয়োজন করেন
দেখুন পরীক্ষা করে হাতেগুনা দু’চারজন ব্যতীত
কেউ এগিয়ে আসবে না এবং টাকাও দেবে না!
আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি শত সহস্র বার!
সুস্থ জ্ঞান অর্জন করতে সুস্থ সাহিত্য চর্চার জন্য
সাহিত্যের প্রোগ্রাম আয়োজন করে
শুধু সাহিত্যপ্রেমী লোক ব্যতীত কেউ এগিয়ে আসে না!
টাকাকঁড়ি দিয়েও সাহায্য সহযোগিতা করে না।
আবার সাহিত্যের প্রোগ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলে
কিছু কিছু লোক সাহায্য করে এবং
কিছু কিছু দর্শক শ্রোতা এগিয়ে আসে।
শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে
যারা যারা সাহিত্য চর্চায় উদার চিত্তে
আর্থিক সহায়তা করেন
তাঁদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং
গভীর আন্তরিকতার সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

যে সব হীনমানুষ সাহিত্যের প্রোগ্রামে
সাহায্য সহযোগিতা দেখে তাদের গাত্রদাহ হয়
তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন করে
ভালো মানুষ হবার উদাত্ত আহ্বান করছি।

জয় হোক শিল্প সাহিত্যের
জয় হোক সকল কলম যোদ্ধার
জয় হোক সকল সাহিত্য চর্চাকারীর!
জয় হোক সাহিত্যে সহায়তাকারীদের।
সাহিত্য সতত সুন্দর
আলোকিত করে বিকশিত করে
ভাববাদী মানব অন্তত।
২৪/০৪/২০২৪ইং, সাহিত্য কুটির, সিলেট।

++++++++++++++++++++++++++

আদম হাওয়ার আওলাদ

আদম সন্তান তো আদিম আদমের মতো-ই হবে
এটা স্বাভাবিক ব্যাপার স্যাপার
আদমের একাকিত্ব ঘুচবে বলে-ই হাওয়া সৃষ্টি!
সব কিছু-ই মহান আল্লাহর গভীর টেকনোলজি!
হাওয়া দর্শনের সাথে সাথে আদম উন্মাদ
হাওয়াও একদম উন্মাদ আদম পরশ পেতে!
বাঁধ সাধলেন জিবরাইল!
আল্লাহর হুকুম মানতে হবে তো!
কি হুকুম বলুন বাবা জিবরীল?
বিয়ের দেনমোহর পরিশোধ করে
বিয়ের কলিমা পাঠ করতে হবে!
আদম নিরুপায়!
আমি দেনমোহর পাবো কোথায়?
জিবরাইল শিখিয়ে দিলেন
আল্লাহর দোস্ত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (দ.) এর উপর
দরুদ শরীফ পাঠ করে পরিশোধ করতে দেনমোহর!
তারপর জিবরাইল আঃ নিজে বিয়ের কাজী হয়ে
পড়িয়ে দেন বিয়ের কলিমা
এতে-ই তাদের সম্পর্কের বৈধতা প্রাপ্তি হলে পরে
আদম হাওয়া খুশীতে বাগবাগ
বেহেশতে হয় তাদের ফুলশয্যা! বিবাহ বাসর!
এটা একটা অজুহাত
ধরনী আগমনের ভিলেন শয়তান
দিলেন পিছু লাগিয়ে! অতঃপর
মানব জাতির পিতা আদম
মানব জাতির মাতা হাওয়া!
তাদের আওলাদে দুনিয়া ভর্তি মানুষে মানুষে!
কোন দেশের পুরুষ?
কোন দেশের নারী?
নারী পুরুষ মিলে মিশে সমাজ সংস্কৃতি!
বাবা মা জন্ম দিয়ে সন্তান সন্ততি!
বড় হলেই দেয় সংসার পাতি!
পুরুষ পাগল নারীর লাগি
নারী পাগল পুরুষের লাগি!
হাজার হাজার প্রমাণ এ সারা বিশ্ব জুড়ি!
জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ বিগ্রহ হলে পরে
পুরুষশূন্য দেশের নারীরা রিলিফ চায় না! পুরুষ চায়!

ইউরোপে রাশিয়ায় বিভিন্ন যুদ্ধে
আফগানিস্তানে তালেবান যুদ্ধে
ভিয়েতনাম যুদ্ধে
হালাকু খাঁ চেঙ্গিস খানের ভয়াবহ মানুষ হত্যায়
সময়ে সময়ে মানব সমাজ হয়ে পড়ে পুরুষ শূন্য!
সেই শূন্যতা দূর করতে
পুরুষ পাচার হয়েছে সময়ে সময়ে অতি কৌশলে
আফ্রিকা থেকে পুরুষ ধরে এনে
বিক্রি করা হয় মধ্যপ্রাচ্য পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে!
সেই পুরুষের পৌরুষে নারীর মিলনে
জন্ম নিয়েছে শংকর জাতি!
পুরুষ নারী একে অন্যকে স্বামী-স্ত্রীরূপে মেনে নিলেই
হয়ে যায় বিয়ের কলিমা পড়া!
এমন রীতিনীতি প্রচলিত ছিল যুগে যুগে।
হায়রে আদম হাওয়ার সন্তান!
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে
ইন্টারনেট ঘেঁটে গুগল সার্চ করে করে
ফেইসবুক টুইটার এ পরিচিত হয়ে
হাজার হাজার করছে ঘর সংসার এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে!

প্রাচীনকালে কবুতরের পায়ে চিঠি লিখে লিখে হতো পত্রমিতালি
পত্র পত্রিকা মিডিয়াজগৎ ছিল বন্ধুত্বের উত্তম মাধ্যম!
ধর্ম কর্ম সমাজ সংস্কৃতি ক্রীড়া নৈপুণ্য
যুদ্ধ বিদ্যা!
দেশ দখল!
রাণী দখল!
রাজা বাদশার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা!
সব কিছু-ই নারীর জন্য!

আমি বড় খাটাশ লোক! আমি লেখক
আমাদের কলমে লেখা হয় বিশ্বের না জানা কত কত ইতিহাস!
যে কুলি খান বাঘের আক্রমণ থেকে
বাঁচিয়ে ছিল সেলিমের প্রাণ
তাঁর-ই সুন্দরী সুশ্রী সুদর্শনা বউ নূর জাহানের লাগি সেলিম হয় পাগল!
বাদশা দাউদ পয়গম্বর সোলেমানের সুন্দরী মাকে বিয়ে করেন
অতি কৌশলে স্বামী বিধবা করে।
ইসরায়েল মিশরের যুদ্ধে ইহুদি সুন্দরী মেয়ে লেলিয়ে
ইসরায়েল হয় বিজয়ী!
যুদ্ধ বিদ্যায় রমনী লোভী সেনাবাহিনী পরাস্ত হয়
দেশে দেশে নারী নির্যাতন করে।
সরকারি চাকরি হাঁরায় কত শত জনে
কেবল নারী কেলেংকারীতে জঁড়িয়ে।
নারীবিহীন পুরুষ অচল; পুরুষ নারী মিলে জগৎ সচল।

জয়তু আদম হাওয়া!
জয়তু পুরুষ নারী!
জয়তু আদম হাওয়ার আওলাদ!