আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান ও জরিমানা «» মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চেয়ারম্যান মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিল্পী বিজয়ী «» কমলগঞ্জে অগ্নিকা-ে চা দোকানীর সর্বস্ব পুড়ে ছাই «» অনলাইনে জুয়া, বেটিংয়ের প্রচার ও প্রসার এবং অর্থপাচারের মহোৎসবে টিআইবির উদ্বেগ; «» মৌলভীবাজাওে স্কুল পর্যায়ে বালিকাদেও কাবাডি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন ফিরে পেলেন মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ «» মৌলভীবাজারে স্কুল পর্যায়ে বালিকাদের কাবাডি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত «» পশ্চিমবঙ্গ মালদা গাঙচিলের উদ্যোগে বিশ্বকবির জন্মদিন পালন «» জুড়ী উপজেলায় কিশোর রায় চৌধুরী মনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত «» বগুড়া সান্তাহারে টিকিট কাউন্টার থেকে মাদকসেবীর  লাশ উদ্ধার

চা-বাগান শ্রমিকদের খাবার ও চিকিৎসার অভাব: মালিকপক্ষের মজুরি দিতে টালবাহানা


মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : মিরতিংগা বাগানের চা- শ্রমিকদের মজুরী,
রেশন (তলব), হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ
থাকার কারণে চা শ্রমিক পরিবারের শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকগণ অনাহার ও অর্ধাহারে
মানবেতর জীবন- যাপন করছেন। তাছাড়া, চুক্তির টাকা, উৎসব বোনাস, মাসিক
বেতনধারী কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ঝড়-তুফানে বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু
বাগান কর্তৃপক্ষ মেরামত করে দিচ্ছেন না। ফলে, চা শ্রমিকরা তাদের পরিবারে
লোকজন নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন। মিরতিংগা বাগানে ফ্যাক্টরির সামনে আজ
২৭ এপ্রিল সকালে ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং বি-৭৭
এর অন্তর্ভুক্ত মনু-দলই ভ্যালী কার্যকরী পরিষদ ও মিরতিংগা চাবাগানের চা শ্রমিকদের
অবস্থান কর্মস‚চি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। এসময় উপস্তিত ছিলেন- মনু
দলই ভ্যালী সভাপতি ধনা বাউরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী কুল চন্দ্র তাতী, বাগান
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মন্টু অলমিক, মো: আব্দুল জব্বার, মাসুদ আলী, নিশি
গঞ্জু প্রমুখ। বক্তারা জানান, চা শ্রমিকরা ঠিকমত বাগানে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্ত তাদের মজুরি দিতে টালবাহানা চলছে, আজ না কাল করে মালিকপক্ষ তাদেরকে
ঘুরাচ্ছেন, বাগানের হাসপাতালে ঔষধ নেই, শ্রমিকদের বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা
নিতে হচ্ছে। প্রায় সময় ঝড়-তুফানে বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু, বাগান
কর্তৃপক্ষ মেরামত করে দিচ্ছেন না। তারা তাদের সন্তানাদি নিয়ে মানবেতর জীবন
যাপন করছেন। যে ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্বি পাচ্ছে, এভাবে
চলতে থাকলে চা শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে। নির্ধারিত ১৭০ টাকা মজুরী দিয়ে
তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। দ্রæত সময়ের ভিতরে বকেয়া মজুরি, চিকিৎসা,
বাসস্থান এর সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মস‚চির মাধ্যমে লাগাতার
কর্মবিরতি পালনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়।