আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানি এর ২টি কবিতা

মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানি এর ২টি কবিতা

হঠাৎ যখন ঘুম ভেঙ্গে যায়

মাঝ রাতে ঘুমের ঘরে হঠাৎ চমকে উঠি যখন
কে যেনো এই হাহাকার বুকে ছুঁড়ে মারে পাথর।
বিধিরে তোর মন গলেনা শোকে যে আমি কাতর
আঘাতের পর আঘাত হানছে অচেনা কোনো ঘাতক।

পাথরতো নয় যেনো আকাশটা ভেঙ্গে পড়ে
অশ্রু জলে বালিশ ভিজে কান্নাটা থেমে থেমে।
কি যে এমন যন্ত্রণা আমার জানেনা কোনো লোকে?

বিপদকালে কেউ আমার হলোনা খানিক আপন
ভাবলোনা কেউ কেমনে করি দিন রজনী যাপন?

পাখিটা আজ বন্ধী খাঁচায় ছটফট ছটফট করছে
ভালোবাসার তৃষ্ণায় ভরা ধুঁকে ধুঁকে যেনো মরছে।
কি যে এমন যন্ত্রণা আমার জানেনা কোনো লোকে?

হঠাৎ যখন প্রাণপাখিটা যায় চলে যায় দূর বহুদূরে
কাঁটার মালায় জড়িয়ে মোরে মারে শোকে শোকে!

কেমনে তারে ভুলে থাকি কেমনে কাঁটাই দিন রজনী?
ভুলা কি আর যায়রে তারে অন্তর জুঁড়ে নিরব বসতি।
ফুলের সুঘ্রাণে ভড়িয়ে রাখতো সে আমায় মনেপ্রাণে
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে আমায় ভাসিয়ে নদীর স্রোতে।
কি যে এমন যন্ত্রণা আমার জানেনা কোনো লোকে?

আসবে ঠিক ফের উড়ালপঙ্খি হোকনা যতই পাষন্ড
বৃষ্টির জলে ভিজাবো তারে ছিটিয়ে সুগন্ধি আতর!
১৮-০৪-২৪ইং

+++++++++++++++++++++++++++++++

রয়েল হসপিটালে কিছুক্ষণ

কোন উদ্দেশ্যে বসছি আমি রয়েল হাসপাতালে?
ডাক্তার নয় টেস্ট নয় নেইতো প্রয়োজন ঔষধের।
মেয়েকে নিয়ে কুমিল্লা আসছি এই ঝাউতলাতে
হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ হলো জোরেশোরে।
মাঝে মাঝে আত্মীয়ের বাসায় উঠি বিপদ আপদে
আজ বিকালে এমন বৃষ্টি হবে জানা ছিলনা মোটে।
কয়েকটা দিন চৈতালী তাপে আগুন জ্বলছে শরীরে
ছাদের নিচে বসবাস আমাদের কষ্টে জীবন কাঁটে।
আমার দুইটা পাখি আছে দেখতে কত যে চমৎকার
কালবৈশাখীর ধমকা হাওয়াতে থমকে যায় হঠাৎ।
চোখের নজর পইড়া তাদের অসুখে বিসুখে ভোগে
লেখাপড়া করে বড় হবে চায়না আপন লোকে।
তাইতো আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যতই কষ্ট হোক
বড় পাখিটা পিছিয়ে গেছে করতে করতে শোক!
ছোট পাখিটাকে বড় করতে ছুটে চলছি অবিরাম
ত্রিশ কি:মি: আপ-ডাউন করি করে নানা সংগ্রাম।
বসবাস আমার ভাড়া বাসায় বরুড়া উপজেলায়
কোচিং করাতে ছোট পাখিটাকে আনি কুমিল্লায়।
কুমিল্লাতে বাসা ভাড়া নিতে গেলে মাথায় উঠে হাত
আগুনের মতো ভাড়া চায় সাধারণ এক-দুই রুমের স্থান।
প্রায় একমাস কর্মস্থল বন্ধ তাইতো দৌঁড়াদোঁড়ি করি
কর্মস্থলের দায়িত্ব আরম্ভ হবে টেনশন করে তাই মরি!
বলি কত আত্মীয় স্বজনকে বাসায় রাখতে পাখিকে
কে কার দায়িত্ব নিবে প্রতিযোগিতামূলক ধরনীতে?
কত আত্মীয় বড়লোক আছে নিজের চিন্তাই ভাবে
ক্ষণিকের এই সমস্যা হয়তো থাকবেনা ভবিষ্যতে।
কেউ আবার মেয়ে পাখিকে দেখলে ভয়ে ডরে মরে
তাদের ঘরে উপযুক্ত ছেলে পাছে যদি দূর্ঘটনা ঘটে?
এসব সমস্যা ভাবতে ভাবতে গত ত্রিশ বছর যায় চলে
এখন ভাবছি আর ডরাইবনা নিয়ে যাক কোনো ঢলে!
১৬-০৪-২৪ইং, ঝাউতলা, কুমিল্লা।