আগুনের পরশমনি
-মোর্শেদা চৌধুরী এ্যানি
কৃষক আমি; সোনার ফসল ফলাই ঐ মাঠেঘাটে
ঝড়-বৃষ্টি-খরা বাদলে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে।
আউস-আমন আর বুরো ধানের ভরা মৌসুমে
দূর্যোগ তখন হামাগুড়ি দিয়ে আসে দ্রুত গতিতে।
চিডা ধানের বস্তা সেথায় ভাসে পুকুর-খালে-বিলে
বৈশাখ মাসের অতি গরমে ধানের চাউল ভাঙ্গে।
শাক সবজি ও তরিতরকারির ক্ষেত খরতাপে ছাঁই
পুকুর-নদী-খালবিল শুকিয়েছে শান্তি নাহি পাই।
বুড়ো-বুড়ি, মা-চাচিরা আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছে
বিশাল বিশাল অট্টালিকায় চাতক পাখি কান্দে।
শিশু-তরুণ-কিশোর-কিশোরী তাপ দেখে অবাক
কেনো যে এমন দৈন্যদশা কিসের জন্য এই প্রভাব?
শীতকালে শীত বেশী হয় গ্রীষ্মকালেও বেশি গরম
বর্ষাকালে প্লাবিত হতে দেখি জলাবদ্ধতাও চরম।
গরীব-দুঃখী, শ্রমিকের মেহনতি ঘামে ভেজা শরীর
রক্তচোষা জোকের মত চুষে খেয়েও হয়না স্থবির।
আগুনের পরশমনিতে চারপাশের মাটি পুড়ে হায়
অতিমাত্রায় কষ্টের সীমা বেঁচে থাকা যে বড় দায়!
বিত্তশালীরা শান্তি খুঁজে; গঁড়ে আরামদায়ক প্রাসাদ
অক্সিজেন শোষণে বৃদ্ধি করে; কার্বন ডাই-অক্সাইড।
৩০-০৪-২০২৪ইং