আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

হাকালুকি হাওর এলাকায় পুলিশি অভিযান স্বামীকে লিঙ্গ কর্তন করে হত্যাকারী আলোচিত স্ত্রী সেই গেনী পুলিশের খাঁচায়

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট ব্যুারোঃ সিলেটের দক্ষিন সুরমায় স্বামীকে হত্যা ও লিঙ্গ কর্তন করে বিছানায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে পলায়নকারী আলোচিত দুই সন্তানের জননী গেনী বেগম (৩৫) কে চিরুনী অভিযান চালিয়ে হাকালুকি হাওর এর জিরো পয়েন্ট থেকে খাঁচায় বন্দী করেছে দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন স্ত্রী গেনী বেগম (৩৫)। তাহাদের বিবাহের বয়স ১৮ বছর। নিজ বাড়ী মোগলাবাজার থানাধীণ দাউদপুর হলেও স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দক্ষিণ সুরমা থানাধীন মোমিনখলাস্থ আব্দুল গফ্ফারের ভাড়া বাসায়।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ২২ জুলাই রাতে দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন গেনী বেগম। মাঝ রাতে স্বামী বাসায় ফিরলে শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ। একপর্যায়ে গেনী বেগম ঘরে থাকা ধারালো বটি দা দিয়ে স্বামীর ঘাড়ে আঘাত করেন। এরপর স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করে মৃত্যু নিশ্চিত করত: স্বামীর মৃত দেহ বিছানায় কাঁথা দিয়ে ডেকে রাখেন।
তার ঘুমন্ত ০২ সন্তান রাফি (১৫) ও রাহি (১০) দের নিয়ে দরজায় তালা দিয়ে ভোর বেলা বাবার বাড়ী ফেঞ্চুগঞ্জে চলে যায়। ভোরে শিশু সন্তানদের নিয়ে বোন কে দেখে ভাইয়েরা জিজ্ঞাস করলে, তিনি তার স্বামীর সহিত সংঘটিত ঝগড়ার ঘটনার বর্ণনা।
গেনী বেগমের ভাই এনু মিয়া, ঝগড়ার বিষয়টি নিহত নিজাম আহমদ এর বড় ভাই আসলাম আহমদ কে জানায়। তার বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এই প্রেক্ষিতে নিজাম আহমদ এর ভাতিজা তুহিন আহমদ তার চাচা নিজাম আহমদ এর বাসায় এসে দরজা তালা বদ্ধ দেখে বাড়ীওয়ালা সহ আশপাশের লোকজনকে অবগত করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সকলের উপস্থিতিতে বাসার দরজা ভেঙ্গে নিজাম আহমদ মৃত দেহ বিছানায় কাঁথা দিয়ে ঢাকা ও শরীরের আঘাতের চিহ্ন এবং পুরুষাঙ্গ কর্তিত দেখা যায়।
আলোচিত এ ঘটনার খবর পেয়ে এসএমপি দক্ষিন এর উপ পুলিশ কমিশনার সোহেল রেজা-পিপিএম, সিলেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরে লাশের সুরতহাল করত: ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করে লাশ আত্মীয় স্বজনের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আলামত জব্দ করা হয়। পলাতক গেনী বেগমকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।
একপর্যায়ে দক্ষিন সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মো: মোখলেছুর রহমান, স্বামী হত্যাকারী গেনী বেগমকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানাধীন ঘিলাছড়া যুধিষ্টিপুর গ্রামের হাকালুকি হাওড়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় গেনী বেগম ২৪ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
উপরোক্ত ঘটনায় নিহত নিজাম আহমদ এর ভাতিজা আসলাম এর ছেলে তুহিন আহমদ, এর দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাদী গেনী বেগম (৩৫), পিতা-আসক আলী, মাতা-আমিরুন নেছা, স্বামী-মৃত নিজাম আহমদ, সাং-ছড়ারপাড়, সুগন্ধা-৬০, ব্লক-সি, থানা-কোতয়ালী, জেলা-সিলেট। এ/পি-মোমিনখলা, আব্দুল গফ্ফারের বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট এর বিরুদ্ধে ২৪ জুলাই দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-১৯ রুজ করা হয়।
গেনী বেগমকে আটক করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলেছে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন।