আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

আশীষ কুমার দত্ত এর ৩টি কবিতা

আশীষ কুমার দত্ত এর ৩টি কবিতা

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা

স্বপ্ন বিক্রি করি আমি স্বপ্নের ফেরীওয়ালা
কোনো চাঁদ তারাদের দেশ নয়
আমার স্বপ্নের নায়ক এক কাবুলিওয়ালা
দু’মুঠো পেটের ভাত জোগাতে দূরদেশে পাড়ি দেয়
সংসার পরিবারের মায়া কাঁটিয়ে
চলে আসে এই সোনার বাংলায়
পরদেশী স্বপ্ন দেখে দাঁড়িওয়ালা মুখে লাগে সুড়সুড়ি
ছোট মিষ্টি মুখের ছোঁয়ায়।

দূরদেশে ছোট্ট মিনির মাঝে নিজের মেয়েকে খুঁজে পায়
একটা পৃথিবী একটা আকাশ সব মিলেমিশে এক হয়ে যায়
কোথায় কাবুল কোথায় বাংলা কিন্তু ভাবনাগুলো সব এক
বাবা নামক ঘোড়ার পিঠে সওয়ার
ছোট্ট মেয়ে মিনি মুখে খুশীর ছাপ
মাথার চুলে কচি আঙ্গুলের চাপে
সে ঘোড়া ছুটে চলে টগবগ টগবগ
আর ঐদিকে হ্যাট ঘোড়া হ্যাট ঘোড়া করে
সোনামনি একমনে করে চলে বকবক
সেই মনের আনন্দ কাবুলের রহমত আর
বাংলায় মিনির বাবার বুকে জীবনজুঁড়ে থাক।
১৮.০৪.২০২৪ইং

++++++++++++++++++++++++++++

শুভ নববর্ষ সুস্বাগতম

ঝরাপাতা ঝরে যেতে যেতে বলে
আমি তো এসেইছিলাম বিদায় নেবো বলে
গাছ তুমি ভালো থেকো বড়ো আদর করে সাথে রেখেছিলে
যাবার বেলায় বলি ওই মাটি থেকে দেখবো তোমায়
কেমন লাগো নতুন ভাবে নতুন করে পাতা গজালে তোমার ডালে।

সময় এগিয়ে চলে
ক্যালেন্ডারের পাতায় দিনবদলের পালা
যে ঝরে যায় সে ফিরে আসেনা
নতুনের হাত ধরে শুধুই এগিয়ে চলা
আবার একটি বছর শেষে নতুন বছরের হাতছানি
নবীনের জয়ধ্বনি
কোনো ঝরাপাতার গল্প নয় আজ
এসো শুধু নতুন বছরের আগমনীর গান শুনি।

এসো নতুন বছরকে করি সাদরে বরণ
বলি- এসো এসো শুভ নববর্ষ সুস্বাগতম
অনেক রঙের ফুলের সুগন্ধে
সৌরভে ভরে থাক জীবনের অঙ্গন
যে বছর কে এলাম পিছনে ফেলে, তার সাথে মিশে আছে অনেক পিছুটান,
সে সব ভুলে আজকের মধুর দিনে
সবাই মিলে গাইবো শুধু নবপ্রভাতের গান।

আবার একটি নতুন দিন নতুন ভোরের আলো
এই আলোকে সঙ্গী করে কাটুক মনের যতো কালো
শুভ নববর্ষে আবার অপেক্ষা সেই শরতের ভোরের আকাশ
নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলা
নদীর ধারে কাশবন আর মাঠভর্তি সবুজ ঘাস
কোনো রাত্রির কান্না নয়; দেখবো
ভোরের শিশির বিন্দু সবুজ ঘাসের উপরে
শিশিরে পা ভিজিয়ে নতুন ভোরের আলোয়
এগিয়ে যাবো মাটির মিষ্টি গঁন্ধকে সঙ্গী করে।
১৪.০৪.২০২৪ইং

+++++++++++++++++++++++++++

আমি হবো সেই রাখাল বালক

সবে ভোরের আলো ফুঁটেছে
এক রাখাল বালক বসে গাছের নীচে
মনে ভাবে- হবো আমি সেই রাখাল বালক
ভারি মিষ্টি একটা নাম হবে
কেউ ডাকবেনা গোল গোলু গোলক
কৃষ্ণ হবে মোর নাম
কেউ ভালোবেসে ডাকবে বালক ঘনশ্যাম
আলোর মতো প্রেম ছড়িয়ে গঁড়বো আনন্দধাম
সেই আনন্দধামে হাসিমুখে থাকে সবাই
মানুষ পশুপাখি যতো…
কৃষ্ণপ্রেমে হবে সবাই বিভোর
তার বাঁশীর সুরের মতো।

যে প্রেমের বাঁশীর সুর শুনিয়ে সবার ঘুম ভাঙ্গায়
তার ভালোবাসায় মুগ্ধ জগৎ তার সুরে সুর মেলায়
যার বাঁশীর সুরে মাঠের সবুজ ঘাসের ছেড়ে মায়া
গরুর পাল তার পানে ভালোবেসে ছুঁটে যায়
মুখেতে তার দুষ্টু হাসি মাথায় ময়ূরের পালক
সেওতো ছিলো আমার মতোই একজন রাখাল বালক
আমার হাতেও আছে বাঁশরী
ফুঁ দিয়ে এদিকে সেদিকে দেখে গোলক
ঐ তো একটা সুন্দর লম্বা গাছের পাতা
এটাই হবে তার মাথায় পালক
কৃষ্ণ নামের এমন মহিমা
সবকিছু জুড়ে তারই লীলা
জীবন মানে প্রেমের মেলা
কেউ মন্দিরেতে পূজা করে
কেউ তার কথা ভেবে গাছের নীচে আনন্দে করে খেলা।
১৭.০৪.২০২৪ইং