আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে «» বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে পথ সভা «» মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি «» শ্রীমঙ্গলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা «» কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের মোঃ কামাল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত «» সংবাদ বিজ্ঞপ্তিবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিকল্প নেইঢাকা, ০২ মে ২০২৪: «» জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরমৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় «» চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা রহমান নির্বাচিত

মৌলভীবাজারে বেড়েছে কিশোর গ্যাং অতিষ্ঠ জনজীবন ____মোয়াজ্জেম চৌধুরী

—————————————–
প্রায় সময় দেখা যায় কখনো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, কখনো চৌমুহনী, কলেজ গেইট, ওয়াপদা মৌলভীবাজার স্টেডিয়াম (সাইফুর স্টেডিয়াম) বেরীরপাড়, কুসুমাগ পয়েন্ট এই সমস্ত জায়গা থেকে তারা শোডাউন বের করে জনমনে আতংক আর অতিষ্ঠের তীব্র মাত্রা ধারন করে চলেছে। 

এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল সড়ক, চুবড়া, বনবিথী, দক্ষিণ কলিমাবাদ, মিশনরোডসহ প্রায় সব এলাকায় একক ভাবে কখনো দলবদ্ধভাবে বিকট শব্দের সাইলেন্সার লাগিয়ে কাঁপিয়ে তুলছে এলাকা গুলোতে বসবাসরত শিশু থেকে শুরু বৃদ্ধ অসুস্থ লোকদের। 

অথচ যানবাহন আইনে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে যে সমস্ত এলাকায় হাসপাতাল, ডাক্তারের চেম্বার, অফিস আদালত, প্রশাসনিক ভবন, রয়েছে এসব এলাকাকে নিরব এলাকা বলে ঘোষণা করা আছে। চুরে না শুনে ধর্মের কাহিনি এমনটাই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা। 

কিশোররা কি শুধু এতেই সীমাবদ্ধ! ———————————————–
কিশোর গ্যাং এর পিছনে রয়েছে এদের গডফাদাড়রা  পরোক্ষ মদদদাতা। তাদের কি অতিষ্ঠ করাতেই কি শেষ নাকি চলছে আধিপত্য বিস্তার, মাদকের ভয়াবহ ব্যবসা,  স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের নেশার দিকে ধাবিত করা নিজের দলে টেনে নেয়ার জন্য। 

এক কথায় বলা যায় কিশোর গ্যাং, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা। 

কিশোর গ্যাং দমনে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা পালন————————————————————————-
কিশোর গ্যাং দমনে ও মাদক সেবন বন্ধে সরকারের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ইদানীং দেখা যাচ্ছে বেড়ে চলেছে। 
তথাপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের গ্রেফতার ও মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার পর আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে অদৃশ্য শক্তি তথা গডফাদারদের দ্বারা আবারও বেরিয়ে আসে এবং তাদের কর্মকান্ড শুরু করে দেয়। “যা এমন গরীবকে আইন শাসন করে আর বড়লোক’রা আইনকে শাসন করে।”

মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ প্রশাসন প্রায়শই কিশোর গ্যাং বন্দে অভিযান পরিচালনা ও অতিরিক্ত বিকট শব্দের মোটরবাইক আটক করলেও বের হয়ে আবারও তাদের উৎপাত শুরু করে। 

কিশোর গ্যাং দমনে করণীয়—————————————
কিশোর গ্যাং বন্দে সর্বপ্রথমই একটি কিশোরের পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে তার বাবা মা ও পরিবারের লোকজন। 
১। পরিবারের অবাধ্য হয়ে অবাধ চলাফেরা ঘোরাঘুরিসহ বাজে সঙ্গ ত্যাগ করাতে হবে। 
২। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। 
৩। যারা মারামারি দলাদলি করে তাদের সঙ্গ সম্পূর্ণ ত্যাগ করাতে হবে। 
৪। যে সমস্ত কার্যকলাপে মানুষ অতিষ্ঠ হয় তা থেকে বিরত রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। 
৫। অল্প বয়সে মোটরবাইক দেয়া বন্ধ করতে হবে। 
৬। লেখা পড়ার পাশাপাশি ভাল বন্ধু হিসেবে পরিবারের লোকজন আচরণ করতে হবে। 
৭। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো ও অতিরিক্ত হর্ণ ব্যবহার করতে সম্পূর্ণ বিরত রাখতে হবে। 
৮। জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। 
৯। সামাজিক,  সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজে উৎসাহিত করতে হবে। 
১০। সমাজের সুশীল সমাজের লোকদের এগিয়ে এসে সচেতনতা তৈরিসহ তাদের নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের কুফল তুলে ধরতে হবে। 
১১। সামাজিক সংগঠন গুলো কিশোর গ্যাংয়ের কুফলের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে হবে। 
১২। সকল রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে কিশোর গ্যাং বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

১৩। রাষ্ট্র তথা নীতি নির্ধারকেরা সুনির্দিষ্ট ভাবে আইন প্রনয়ণ করতে হবে। 
১৪। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
১৫। প্রয়োজনে সরকারি ভাবে এদের কাউন্সিলিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। 

কারো একার পক্ষে কিশোর গ্যাং দমন করা সম্ভব নয়। সচেতন মহল মনে করেন, জেলা পুলিশ প্রশাসনকে কিশোর গ্যাং সহ অপরাধ দমনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা ও সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতা করা তাহলে হয়তো এর ভাল সুফল পাওয়া যাবে।  

সর্বোপরি বলা যায় কিশোর গ্যাং দমন করার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই অপরাধ রোধ করা সম্ভব বলে আশা করা যায়।

লেখকমোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী কবি, গবেষক, কলামিস্ট, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী।  মৌলভীবাজার, সিলেট, বাংলাদেশ। ইমেইল – pressmuazzambd@gmail.com