আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে «» বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে পথ সভা «» মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি «» শ্রীমঙ্গলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা «» কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের মোঃ কামাল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত «» সংবাদ বিজ্ঞপ্তিবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিকল্প নেইঢাকা, ০২ মে ২০২৪: «» জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরমৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় «» চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা রহমান নির্বাচিত

শ্রীমঙ্গলে হস্ত কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবীতে ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হস্ত কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হস্ত কুটির শিল্প মেলার নাম ভাঙিয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একটি চক্র দর্শনার্থীদের নানান বিনোদনের পসরা বসিয়ে নানান উপায়ে এসব টাকা ভাগবাটোয়ারা করে লুটেপুটে নিচ্ছে। সংঘবদ্ধচক্রটি বিভিন্নমহলকে ম্যানেজ করে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা সহ ভিন্ন ভিত্তি রাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করে মেলার অন্যতম আয়ের খাত তৈরী করেছে।

অন্যদিকে হস্ত কুটির শিল্প মেলার আড়ালে শিশুদের জন্য নানান খেলনার দোকান, ক্রোকারিজ, কসমেটিক্স, প্রসাধনী, জুতা, কাপড় চোপড়, সার্ট প্যান্ট, কোটের দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোট অংকের সেলামী দিয়ে মেলায় বসানো হয়েছে। ফলে শহরের ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসায় লোকসানের শঙ্কায় অবিলম্বে এ মেলা বন্ধের দাবীতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এ মেলা অবিলম্বে বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপিও দিয়েছে প্রশাসনের কাছে। তারা দ্বারস্থ হচ্ছেন স্থানীয় এমপি, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে।

ব্যবসায়ীদের দাবী, যদি এ মেলায় হস্ত কুটির শিল্পের তৈরীর পণ্য বিক্রি করা হতো তাহলে ব্যবসায়ী মহলের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু বাণিজ্য মেলার আড়ালে এ মেলায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নানান ধরনের খেলনা, ক্রোকারিজ, কসমেটিক্স, জুতা, কাপড় চোপড়ের দোকান বসিয়ে শহরের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর শহরের ভানুগাছ রোডস্থ রেলওয়ে মাঠে হস্ত কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে ‘মা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’। আনুষ্ঠানিকভাবে কোন উদ্ভোধন না করা হলেও গত এক সপ্তাহধরে পুরোদমে এ মেলা চলছে। মেলার ভেতরে একটি ব্যানার টাঙানো রয়েছে। এতে লিখা আছে হস্ত কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা -২০২৩। শুভ উদ্বোধন ২৬-০৯-২০২৩ খ্রি.। আয়োজনে: ‘মা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে এ মেলায় প্রবেশ করে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অনন্ত: অর্ধশতাধিক স্টলে নানা বয়সীদের গেঞ্জি, কাপড় চোপড়, ত্রী পিস, সার্ট, পাঞ্জাবী, বাচ্চাদের কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স, বাচ্চাদের নানা খেলনা, প্রসাধনী, স্যুট কোট, ক্রোকারিজ, নানা প্রকারের খাবারের দোকান সহ সব ধরনের পণ্যের দোকান নিয়ে বসেছেন।

তবে যে উদ্দেশ্যে মেলার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে পুরো মেলা ঘুরে হস্ত কুটির শিল্পের কোন স্টল বা দোকানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ শিশু, তরুণদের আকৃষ্ট করতে বা যে কোন বয়সী দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, ঘুর্ণায়মান চড়কী চড়া সহ বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে এ মেলায়। মেলা প্রাঙ্গণে মূল ফটকের পাশেই রয়েছে, মনোরম ফোয়ারা। মেলার মধ্যস্থলে আয়োজক সংগঠনের একটি কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মেলার ভেতরে টিকিটের হার লিখে সাইবোর্ড টাঙানো রয়েছে। যেমন- নাগরদোলা টিকিট কাউন্টারে লিখা রয়েছে, নাগরদোলায় প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা, মেডি ঘোড়া প্রবেশমূল্য ৫০টাকা, নৌকা ভ্রমণ, সুপার চেয়ার, মিনি রেলগাড়ী চড়া প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা।

এছাড়া মেলায় ওয়াটার বল তৈরী করা হয়েছে। এর প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। স্লিপার ও জাম্পিং প্রবেশ মূল্য জন প্রতি ১০ মিনিট ১০০টাকা ও ওয়াটার বোর্ড প্রবেশ মূল্য ৫ মিনিট ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস টিকেট কাউন্টার ট্রেনের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা আর নৌকা প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা লিখা রয়েছে।

মেলার স্টলের বাইরে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য ৩০ থেকে ৫০ টাকার টিকিটে ভূতের বাড়ী নামে একটি ঘর বানানো হয়েছে। ভুতের বিনোদন দেখতে এটিতে টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। মেলাতে বিনোদনের জন্য নয়টি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। যার সবকটিতেই নির্দিষ্ট অংকের টাকা গুণতে হয়। তাছাড়া মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য চারটি প্রবেশপথ রয়েছে। যে কোন প্রবেশ পথে মেলায় ঢুকতে একেকজনকে ২০টাকা টিকিট কিনে ঢুকতে হয়। তবে মেলা আয়োজকরা শহরে মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে বলেছেন যারা টিকিট কিনে মেলায় প্রবেশ করবে, তাদের জন্য রয়েছে লটারীর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরুষ্কার। সে লক্ষ্যে কেনা এ টিকেটের একটি অংশ মেলায় রাখা টিনের তৈরী একটি ডামের বাক্সে রাখারও ব্যবস্থা রয়েছে।

বলা হচ্ছে, মেলায় বিক্রিত টিকিটের লটারীর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরুষ্কার দেয়া হবে। এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর মেলায় শিশু কিশোর সহ সব বয়সী মানুষের ঢল নামে। হস্ত ও কুটির শিল্প মেলার নামে শহর ও গ্রামে মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে মেলাকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। ফলে মেলামূখি হচ্ছে সব বয়সী মানুষেরা।

এদিকে হস্ত কুটির শিল্প মেলার আড়ালে মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রতিদিন প্রবেশ মূল্য সর্ব নিম্ন ২০ থেকে বিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রাইডের মাধ্যমে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল। তা অবিলম্বে বন্ধের দাবীতে প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে শ্রীমঙ্গল শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি।

শ্রীমঙ্গল শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক ব্যবসায়িী ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে হস্ত ও কুটির শিল্পর নামে বাণিজ্য এই মেলায় হস্ত কুটির শিল্পের নামে একটি দোকানও নেই। গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ইউএনও বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।

অভিযোগ করে শ্রীমঙ্গল শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী লেডিস ফেয়ারের কর্ণধার জয়নাল আবেদীন বলেন, এই মেলার ভিতরে ঘুরে দেখে আসুন একটা দোকানও নেই হস্ত কুটির শিল্পর মাধ্যমে তৈরী করা পণ্যের। তিনি জানান যদি মেলা মাসব্যাপী চলে তাহলে আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বো। এমনকি স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব সহ ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে।

তাছাড়া মেলাকে ঘিরে উঠতি বয়সী তরুণ তরুণীদের অবাধ আড্ডা ও মারামারি সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড মেলায় ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কারণ এর আগেও এ ধরনের মেলায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আর এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি দেবাশীষ ধর পার্থ মুঠোফোনে বলেন, ‘এখানে হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা হলে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের কোন আপত্তি ছিল না। কিন্ত এটার নামে তারা দোকান বসিয়ে অত্যন্ত নিম্নমানের বস্ত্র এনে উচ্চ দামে বিক্রি করছে এর ফলে যেমনি শ্রীমঙ্গলের মানুষজন যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কারণ সামনে দুর্গাপূজা। পূজা উপলক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অনেকে ঋণগ্রস্থ হয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। তারা সিকিউরিটি দিয়ে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন।

মেলায় কাপড়ের দোকান, জুতা, কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রির ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এ নিয়ে গত পরশুদিন (১ অক্টোবর) রাতে ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ে বস্ত্র ও পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠক হয়। এরপর স্থানীয় সংসদ সদস্য ড.উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ হুইপ এর বাসভবনে গিয়ে ব্যবসায়ী সমিতি ও বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের মেলা বন্ধে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। আর হস্ত কুটির শিল্পর মেলার নামে বস্ত্র বিক্রি ও বিনোদনের নামে টিকিট বিক্রির আয়োজন করতে পারে না। তিনি তাৎক্ষণিক ইউএনও এবং থানার ওসিকে ডেকে এনে বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেন। এবং দুইদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় বেঁধে দেন। এসময় তারা ১৫ দিনের জন্য মেলা পারমিশন নিয়েছে বলে জানান’।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ লিটন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীমহল সহ বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, শ্রীমঙ্গলে হস্ত ও কুটির শিল্প মেলার আয়োজনের নামে সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করা হচ্ছে। যে মেলায় বস্ত্র ও কুটির শিল্পর তৈরী পণ্য সামগ্রীর বিক্রির স্টল করার কথা। অথচ এর বিপরীতে মেলায় বসানো হয়েছে মার্কেটে বিক্রির কাপড় চোপড়, ত্রী পিস, সার্ট, পাঞ্জাবী, বাচ্চাদের কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স, প্রসাধনী সামগ্রী, বাচ্চাদের খেলনা, ক্রোকারিজ সহ সব ধরনের পণের দোকান।

মেলায় তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে মূল আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা সহ বিভিন্ন রাইডের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার যতো ব্যবস্থা। এটাকে কি শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বলে? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি অবিলম্বে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও মেলার আড়ালে এহেন কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান’।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেলার আয়োজক জাবেদ হোসেন লিটন মুঠোফোনে বলেন, ‘মেলার পারমিশনে যে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার সবগুলো আমরা পালন করছি। ভ্যাট, ট্যাক্স, এলআর ফান্ড সহ সবকিছু দিয়ে একমাসের জন্য এসেছি। নাগরদোলা সহ সব বিনোদনের জন্য সবকিছুরই পারমিশন আছে। একটা মেলার পারমিশন হলে এগুলো সবকিছু লাগে। তাছাড়া মেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সিকিউরিটির ব্যবস্থা আছে। মেলায় ৩৬টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসনের কাছেও আবেদন করেছি মেলার নিরাপত্তায় তিনজন ফোর্স দেয়ার জন্য। উনারা সার্বক্ষনিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন’।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন, আসলে ওরা মেলার অনুমতির জন্য আমাদের এখানে এপ্লিকেশন করার পর, প্রতিবেদনের জন্য আমরা চেম্বার অব কমার্সে পাঠিয়েছি। তারপর পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠিয়েছি। তখন ওখান থেকে জানানো হয়েছে যে, করা যেতে পারে। তারপর উপজেলা থেকে আমরা রিপোর্ট নিয়েছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সবাই যখন বলছে, আমরা মেলার পারমিশন দিয়েছি। এখন স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ যে অভিযোগ দিয়েছেন, তা আমি এখনও পাইনি। পেলে আমি দেখব। তবে অভিযোগ যেহেতু দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে আমরা এর খোঁজ নিচ্ছি।