আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে «» বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে পথ সভা «» মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি «» শ্রীমঙ্গলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা «» কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন সহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের মোঃ কামাল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত «» সংবাদ বিজ্ঞপ্তিবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিকল্প নেইঢাকা, ০২ মে ২০২৪: «» জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরমৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় «» চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ «» মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা রহমান নির্বাচিত

কমলগঞ্জে স্পিডে বিষ মিশিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ- আহত ৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্ধুর দেওয়া কোমল পানীয় স্পিড পান করে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১টায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমাঘাট এলাকায় সরজমিন খোঁজ নিয়ে ও লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত নয়টায় কুরমাঘাট আওয়ামীলীগ অফিসে একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, ভান্ডারীগাঁও গ্রামের মোঃ আফজল মিয়া, নবাব মিয়া, কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে শাহিন পার্শ্ববর্তী কুরমাঘাট বাজারের তাজ উদ্দিনের দোকান থেকে ছিপি খোলা অবস্থায় ৩টি কোমল পানীয় স্পিড পান করার জন্য দেয়। স্পিড পান করার সময় বিষাক্ত গন্ধ পেলে শাহীনকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে দৌড়াইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্পিড পানের পরপর আফজলসহ তার বন্ধুরা ছটফট করে এবং বমি করে। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আফজল মিয়া ও নবাব মিয়াকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগকারী আহত আফজল মিয়া বলেন, তাদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে শাহিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে সকলের অগোচরে স্পিডের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়। অভিযুক্ত শাহিন মিয়ার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বন্ধুদেরকে স্পিড খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মিত কুরমাঘাটে বসে চা পান খেয়ে আড্ডা দেই। স্পিড খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে বমি করার পর আমি তাদের হাসপাতালে পাঠানোর উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে দেই। কিন্তু বিষ মিশিয়ে স্পিড খাওয়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে তিনি মনে করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবী করছি। তবে ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, কোমল পানীয় স্পিডে বিষ মেশানো নয় বরং অন্য কোন কারণে ফুড পয়জনিং হতে পারে। কমলগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সবুজ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তক্রমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।