আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» পশ্চিমবঙ্গ মালদা গাঙচিলের উদ্যোগে বিশ্বকবির জন্মদিন পালন «» জুড়ী উপজেলায় কিশোর রায় চৌধুরী মনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত «» বগুড়া সান্তাহারে টিকিট কাউন্টার থেকে মাদকসেবীর  লাশ উদ্ধার «» বাইরে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢোকানোর সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও এজেন্ট আটক «» শমশেরনগর হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করলেন ইংল্যান্ড প্রবাসী শিবলী আহমেদ চৌধুরী «» মৌলভীবাজারে বিসমিল্লাহ ইউকে চ্যারিটি সংগঠনের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত «» আজ জুড়ি উপজেলা নির্বাচন- নির্বাচন ঘিরে উৎফুল্ল বিএনপি নেতাকর্মীরা  «» বগুড়ায় মজুরি বৈষম্যের শিকার  নারী শ্রমিকরা «» কমলগঞ্জে ঐতিহাসিক উসমানগড় মাঠে সরকারি ভূমি দখলের হিড়িক «» বিসমিল্লাহ ইউ,কে চ্যারিটি সংগঠনের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণকাণ্ড

চার ছাত্রলীগ ক্যাডারের ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল
# কলেজ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সিলগালা
প্রতিনিধি, সিলেট
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর, রনি, রবিউল ও মাহফুজের ছাত্রত্ব এবং সার্টিফিকেট বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি তাদের স্থায়ীভাবে এমসি কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ জানিয়েছেন, তাদের গঠিত কমিটির তদন্তও শেষ। বর্তমানে সেটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
ধর্ষণকাণ্ডে কলেজ থেকে বহিস্কৃতরা হলো,   বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮), ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৫) ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২৫)।
এই চারজনই সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি। এর মধ্যে সাইফুর এই মামলার প্রধান আসামি ছাড়াও ছাত্রাবাসে তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র মামলারও আসামী। তারা ৪জনই এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন পেয়ে অধ্যক্ষ তা সিলগালা করে রেখেছেন।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহমদ বলেন, শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রােববার সকালে প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, যেহেতু এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত ও উচ্চতর একটি কর্তৃপক্ষের আরও দুটি তদন্ত চলছে সেক্ষেত্রে কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন এই মুহূর্তে প্রকাশ করলে ওই দুটি তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কলেজের তদন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহবায়ক রে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর দুজন সদস্য হিসেবে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক (হোস্টেল সুপার) মো. জামাল উদ্দিন ও জীবনকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য রাখা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা ছিল। ছাত্রাবাসের দুজন তত্ত্বাবধায়ক কমিটিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে ওই দুই সদস্য অব্যাহতি নেন। পরে তদন্ত কমিটিতে কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিভূতিভূষণ রায়কে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কার্যক্রম চলে। পরে দুজন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্তের জন্য সাত কার্যদিবস থেকে বাড়িয়ে আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় নেয়া হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যারাতে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই গৃহবধূর স্বামী।