মাহাতাব উদ্দিন এর ২টি কবিতা
বৃষ্টির বড় ইচ্ছে হল
বৃষ্টির বড় ইচ্ছে হল ওই মেঘের ভেলায় চড়তে
হাওয়ায় ভেসে হেসে হেসে মাটির পানে ঝড়তে।
তাইতো বেজায় খুশির পাহাড় নীলাম্বরীর কোণে
হেসেই মাতাল পাঁপড়ি বেশে সাদা মেঘের বনে।
ধমক দিয়ে বিজলি যখন আলোর ঝলক ছাড়ে
কেঁদে কেঁদে বৃষ্টি তখন টাপুর টুপুর ঝরে।
আষাঢ় শ্রাবণ বৈশাখে ঝরে বৃষ্টি দিনে-রাতে
একবার ফুরসৎ পেলেই যেন সুর্য হাসে প্রাতে।
ডুবুডুবু ঐ গ্রাম ভাসে থৈ থৈ বৃষ্টির জল হাসে
মাঠ ঘাট পথ পেরিয়ে ঘরের কোণে বান ভাসে।
গ্রাম গঞ্জের ধৌতজল ছুটে নদীর অথৈ তল
গঁড়িয়ে নদীর মোহনায় সাগর পানে ছুটে জল।
বৃষ্টির বড় সাধ ছিল নদীর জলে এক বাঁধ ছিল
এক ঝলকে বাঁধ ভেঙ্গে সে সাগর পানে ছুট দিল।
সাগরের জল আকাশের পানে তাকিয়ে শেষে বলে
আমার সাধের সখের ভেলা ভাসিয়ে এলাম চলে।
+++++++++++++++++++++++++++++++
মায়ের সাধ
হৃদয় ছিঁড়ে আর এক হৃদয়
জন্ম দিলেন মা
ঐ একটি নামের মধু ঝরে
সারা দুনিয়া।
সদ্য জন্মা শিশুর মুখে
মায়ের স্বপ্ন আঁকে
তুই যে সোনা সপ্ত মানিক
জীবন মরণ বাঁকে।
চাঁদের চুমু আদর দেবো
ছোট্ট তোরই ভালে
আসমানীদের ঝুমুর দেবো
বাজাস তালে তালে।
সাত সেতারার বাজনা দেবো
সাথে বাহন পঙ্কিরাজ
সাত রাণীদের সঙ্গী দেবো
তুই স্বপ্নপুরে যাস।
কপাল জুড়ে এঁকে দিলাম
কাজল মাখা টিঁপ
আমার খোকা জয় করবে
সুখের চন্দন দ্বীপ।
বড় হবি তুই বিদ্যাগুণে
আকাশ ছোঁয়া জ্ঞানী
মার আদরের পরশ পেয়ে
হবি পরশমনি।
তুইযে আমার আশার আলো
বংশের বাতিঘর
মার আঁচলের ছুটলে বাঁধন
হয়ে যাবি পর।
তুই যে সোনা চাঁদের কোণা
সাত রাজারই ধন
তোকে পেয়ে সব ভুলেছি
দুঃখ ব্যথার ক্ষণ।