আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» খেলাঘর আসর সিলেট জেলা কমিটির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত «» ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ)-এ অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার/প্রকাশ/সম্প্রচার প্রসঙ্গে «» উসমানগড় উপজেলা স্থাপনের দাবিতে জনসভা অনুষ্ঠিত «» বগুড়া আদমদীঘিতে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু তড়িঘড়ি লাশ দাফনের চেষ্টা «» শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না — নওগাঁয় খাদ্য মন্ত্রী  «» নওগাঁয় স্ত্রীর উপর অভিমান করে  স্বামীর আত্মহত্যা «» সিলেটে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির খাদ্য সামগ্রী বিতরণ «» দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের অভিনন্দন «» ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান ও জরিমানা «» কমলগঞ্জে এসএসসিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অম্লান দাস তুর্যের সাফল্য

জয়ন্ত প্রসাদ গুপ্ত এর ৪টি কবিতা

জয়ন্ত প্রসাদ গুপ্ত এর ৪টি কবিতা

গুণে যাই দিন

যদি কোনদিন
নাচে মন তা ধিন ধিন
যদিও সে আশা বড় ক্ষীণ।

আমার অমা রজনীতে
রজনীগন্ধা গন্ধহারা
গন্ধরাজ বুঝি অন্ধ আজ!
কীভাবে আসবে সে আমার কুটিরে
পথ চিনে চিনে
আমার ফাগুন বেলা
অতিস্বল্প দামে ওরা যে নিয়েছে কিনে।

নিকিয়ে নিয়েছে সব রঙ রস
প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা এ তনু
আজ তাই তো অবশ।
পারবো কি আমার পাওনা-গণ্ডা
কোনদিন বুঝে নিতে সুদ সহ
এ জীবনভার যে ক্রমেই অবহ!

জানি অমাবস্যার পরে পূর্ণিমা
রাত্রির পরে দিন
সেই ভরসায়-ই আমি গুণে যাই দিন।

+++++++++++++++++++++++

আনতেই হবে সুন্দর সকাল

আকাশে ফোটাতে পার ফুল
তবে মাটিতেই তার মূল
কিন্তু অনেক বিজ্ঞের সেখানেই হয়ে যায় ভুল।
আদ্যিকালের হিন্দু বিধবাদের মতো
ছোঁব না ছোঁব না বাতিক।
আমাদের এটা সাহিত্যের গ্রুপ
এখানে রাজনীতির চর্চা চলবে না কোনরূপ
ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা… ঠিক।
যে নারী অনায়াস স্বাচ্ছন্দ্যে লেখেন কবিতা
দেশ যদি হয় ধর্ষণের অবাধ ক্ষেত্র
অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম শেষে
খুঁজে পাওয়া যাবে কি তার শিল্পীর সত্তা?
শিল্পী নতুন জগৎ সৃষ্টি করেন
তাঁর শিল্পের মাধ্যমে।
তিনি দ্বিতীয় ব্রহ্মা
অতি ধনী যদি তার দানবিক গ্রাসে
সেই শিল্পীর জীবসত্তাকেই দেয় শেষ করে
কাব্য-সাহিত্য কি আকাশ থেকে পড়বে ঝরে?
বিজ্ঞের দল মূলকে অবহেলা করে
আকাশ-কুসুমকে করো না সম্বল।
দুর্যোধনের দুঃশাসনের গদা যদি নেমে আসে
বাপের ব্যাটা হয়ে জন্মেছে যে
ইঁদুরের গর্ত খুঁজবে না সে ত্রাসে
মোহমুক্ত স্বচ্ছ দৃষ্টি নিয়ে তাকাও
আর চেতনায় এই বীজ নাও বুনে
লড়াইয়ের ময়দানে নামতেই হবে
আজ কিংবা কাল
সব জঞ্জাল সরায়ে
এই পৃথিবীতে আনতেই হবে সুন্দর সকাল।

++++++++++++++++++++++++++

হাঁরাতে চাই না আমি তোমায়

বলতে আমি চেয়েছি তোমায়
হয় নি কখনো বলা
স্পষ্ট ভাষণ স্বভাব আমার
নেই মেয়েলী ছলাকলা।
কিন্তু কষ্ট করে যে স্পষ্ট কথাটি
বলা যে গেল না আজো
বাতায়ন পথে চোখে পড়ে
তুমি কেমন সুন্দর সাজো।
শীতের দুপুরে এলায়িত চুলে
ঝুল বারান্দায় বসি
সুদূরের পানে দৃষ্টি দাও মেলে।
তাও তো চোখে পড়ে মোর
নয়নে লাগে ঘোর।
দৃপ্ত ভঙ্গিমায় রাজপথ দিয়ে চলো যখন
সম্ভ্রমের চোখে তাকিয়ে দেখে লোকজন।
তুমি কি দেখ না মোরে
এমন কি ভুল করে।
থাক তবে তুমি থেকে যাও
দূরের তারার মতো
প্রত্যহের ম্লানিমা তোমায়
স্পর্শ করবে না অবিরত।
তুমি রবে স্বপ্ন
স্বপ্নের সুষমায়
কোনদিন হাঁরাবো না
আমি তোমায়।

+++++++++++++++++

দূরে দূরান্তে অনন্ত গগনে…

হাবে ভাবে নানাভাবে
বুঝিয়েছ মোরে
ভালোবাস আমায়
যদিও বল নি স্পষ্ট করে।
সে ভালোবাসার সৌরভে
চিত্ত আমোদিত আমারও
অস্বীকার করব তার উপায় নেই।
থাকনা কতশত যোজন দূরে
তবু সুরে সুরে
তোমার অন্তরের কথা
গান হয়ে বাজে মোর বুকে।
দুরন্ত ভাবাবেগ দূরত্বে পরিস্রুত হয়ে
নিরবয়ব ব্যঞ্জনায় ধূপের ধোঁয়া
ফুলের সুবাসের পরিমণ্ডল ব্যাপ্ত করে দেয়
আমার মনের আকাশে।
একটা হাল্কা মদির আমেজে
আমার চেতনা আচ্ছন্ন হতে চায়।

মাঝে মাঝে অনুভব করি
এই প্লেটোনিক ব্যাপারস্যাপারে
বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তোমার মন।
মেঘ জমে তোমার চেতনার দিগন্তে
কিন্তু শেষপর্যন্ত একটা গুমোট পরিবেশ
ঝড়ও ওঠে না বিদ্যুৎও চমকায় না।
কিন্তু কী বলব তোমাকে আমি
আশ্বাস? সান্ত্বনা?
মেকি কথা যে আমি বলতে পারি না।

আমার স্বগোক্তি কি তোমার শ্রবণে যাবে?
চোখের সামনে ভাসে সূর্যমুখী ফুল।
সূর্যের ঐ আলো ঐ উত্তাপ
তাকে সঞ্জীবিত রাখে দূরে থেকে।
কিন্তু অপলক নয়নে সূর্যের পানে চাওয়া
তার চাওয়ার শেষ সীমান্ত।
সূর্য যদি কোনদিন তার প্রচণ্ড ভালোবাসা নিয়ে
এগিয়ে এসে তাকে আলিঙ্গন আবদ্ধ করে
নৈকট্যের নিবিড়তায় নিমেষে খাক হয়ে যাবে
তার প্রণয়াস্পদ তার সমস্ত ভালোবাসা সমেত।

তারচেয়ে এই ভালো
থাক না সুদূরের ব্যবধান
দূরদূরান্তে অনন্ত গগনে
ব্যপ্ত হোক শাশ্বত বিরহের
এই অমৃতনিষ্যন্দী গান।