আবদুল বাকী এর ৬টি কবিতা
গরমে অতিষ্ঠ
গরমে অতিষ্ঠ প্রাণীকুল বৃষ্টি প্রয়োজন
কৃষকের দরকার রৌদ্র শুকাবে ধান।
দেশ জুঁড়ে হাহাকার অধিক তাপমাত্রা
যান চলাচল দুষ্কর পিচঢালা রাস্তা।
বাতাস গরম গায়ে অসহ্য লাগে তাপ
ভূমি হতে উঠে বাস্প অসহ্য উত্তাপ।
বৃষ্টিই পারে কমাতে তাপ সারাদেশে
আকুতি জানাই প্রভু তোমার সকাশে।
তাপের মাত্রা কমাতে মহিমা তোমার
রহমত কর আল্লাহ আমরা গুনাগার।
কে আছে বল তোমার মত মহিমান্বিত
আবদারে করিবেন দুঃখ তরান্বিত?
আপদে বিপদে শোক দুঃখে তুমি সহায়
বিপদে দিশাহারা আস্থা তব মহিমায়।
রহমতের স্বরূপ তুমি কাঙ্গালের স্বামী
নতকরি শির চরণে তোমার হে ভূস্বামী।
২৮-০৪-২০২৪ইং, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
+++++++++++++++++++++++
যত ছড়াইবে
যতই ছড়াইবে ততই ছড়িবে
তবু হবেনা কভু শেষ
ভালোবাসা নয়কো সামান্য
বিলাইলে হবে না নিঃশেষ।
বলিবে কথা লেখিবে খাতা
অবশিষ্ট থাকিবেনা পাতা।
কালি হবে একদিন শেষ
তবু লেখা হবে না নিঃশেষ।
বাড়াইবে হাত ছাড়িবে নিশ্বাস
আশ্বাস থাকিবে অবশেষ
যত করিবে দান পাবে প্রতিদান
মনে কেন তবে বিদ্বেষ?
হাঁরিবে না ধন ত্যাগিও না মন
সুফল পাবে নিশ্চিত এ জীবন
কুড়াইবে যত কমিবে তত সংকির্ণ মন
সংকোচিত হবে আত্মা বিবর্ণ মনন।
কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
++++++++++++++++++++++
চার মেয়ে
মেয়ে আমার চার
একজন কলিজার টুকরা
একজন আমার মন
একজন আমার দিল
একজন আমার হিয়া
চারজনকে ভালোবাসি অন্তর দিয়া
চারজনই আমাকে ভালোবাসে পরাণ দিয়া।
হৃদয়ে আমার চারজনের বাস
চারদিকে ছড়ায় স্বর্গীয় সুবাস।
তিনজন শ্বশুর বাড়ী
একজন আমার বাড়ী।
চতুর্থজন স্কুলে অধ্যায়ন
আমার সাথী সারাক্ষণ।
কেরাণীগঞ্জ ঢাকা।
++++++++++++++++++++++
মন ছিল
আমার একটা মনছিল মনে ছিলে তুমি
কাছে পেয়ে কোলে তুলে নিয়েছি আমি।
তোমার ললাটে চুম্বন দিয়েছি আমি
চোখ বন্ধ করে সায় দিয়েছিলে তুমি।
তোমার তরে আমি আমার তরে তুমি
আমাদের মিলনগাঁথা জানে অন্তর্যামী।
কাজলি নয়ন তোমার খুঁজে আমায়
বাহুতে জড়িয়ে করিব নিক্ষণ তোমায়।
কানে বাজে তোমার হৃদয়ের স্পন্দন
তোমাকে পেয়ে আমার নন্দিত জীবন।
চোখের আড়াল হলে হই বিচলিত
বক্ষে টানি তোমায় হইব বিমোহিত।
আদরে সোহাগে চিত্ত ভরপুর
নিত্য করেছি খেলা চৈত্র দুপুর।
কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
++++++++++++++++++++++
দয়া মায়া নেই অন্তরে
দয়া মায়া নেই অন্তরে হৃদয় শূন্যপ্রাণ
বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে বিতর্কিত জ্ঞান।
আক্কেল দোষে বেআক্কেল তুমি গদ্যময়
পাড়াপড়শি ভুলে গেছে তুমি অন্তরায়।
ফুটেনা হাসি অন্তর নিবাসি করুণায়
দৃষ্টিনন্দন নওগো তুমি ক্ষীণ অসহায়।
ছন্দপতন ঘটেছে নিরানন্দে কেঁটে যায়
সজিবতা হ্রাস পেয়েছে প্রচণ্ড উষ্ণতায়।
জাগে চিন্তা সব জান্তা তুমি নিরুপায়
আশার তরী চালাতেনারি দুশ্চিন্তায়।
প্রত্যাশা বাড়ে প্রাণে ক্ষণিকের তরে
নিমিষে ভুলে যাও ছিলে তুমি অন্তরে।
উদাস প্রাণে ফেলে নিশ্বাস একটু ভাবনা
ভাগ্যের পরিহাস নেই আশ্বাস রুগ্ন কল্পনা।
মেনে নিতে হয় সবুরে ইচ্ছা অন্তর্যামী
জীবন খাতা শূন্য আজ নহ তুমি দামী।
সাধ ছিল সাধ্য নেই দুরুহ মনের আশা
অসাড় দেহে নাড়া দিত রুদ্ধ ছিল ভাষা।
বাস্তব মেনে চলা বড়ই কঠিন ছিল বটে
কি আর করা? ভবিষ্যতে যা থাকে ঘটে।
২৬-০৪-২০২৪ইং, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
+++++++++++++++++++++++
বিকশিত হয় যদি
বিকশিত হয় যদি মন তৃষ্ণাতুর মননে
প্রস্ফুটিত হবে ফুল আশান্বিত কাননে।
আঁধার ছেড়ে আলোর পথে পা বাড়িয়ে
সুবাস ছড়াবে মানবিক লাভা তাড়িয়ে।
হিংসা বিদ্বেষ মানব মনের আবর্জনা
বিধৌত হোক তমসাবৃত সকল বঞ্চনা।
পাইয়া ভানুর উত্তাপ ছড়াবে সুগন্ধি ঘ্রাণ
পুলকিত হোক সারা বিশ্ব নন্দিত উদ্যান।
আবেশ পাইয়া প্রাণে উচ্ছ্বসিত জীবন
কল্যাণকর হোক কামনা সর্বসাধারণ।
উড়িবে সুবাতাস চারিদিকে আলোড়ন
প্রফুল্ল চিত্তে করি আন্তরিক স্মৃতিচারণ।
আলোচিত প্রাণ মোর বিকশিত পরাণ
আলোক পাইয়া জীবন প্রস্ফুটিত কানন।
ভ্রমরের আনাগোনা মৌমাছির গুঞ্জন
প্রভাতে কিচিরমিচির প্রকৃতির বন্ধন।
স্বচ্ছ নীল আকাশ ঝলমলে তারকারাশি
আঁধার করে দূর উজ্জ্বল আলোকরশ্মি।
বিভেদ ভুলি চলিতে পারি সহজ পথে
আন্তরিক হই যদি থাকবেনা ভ্রম আদতে।
২৯-০৪-২০২৪ইং, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।