আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» বড়লেখায় ৯৭ পিস ইয়াবাসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার «» সিলেটের সিলাম-মোহাম্মদপুর সড়কের বাদশাহী টিলা মোড়ে পানি নিষ্কাশনের পথ খুলে দিলেন এসিল্যান্ড «» কমলগঞ্জের শমশেরনগরে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত «» ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান ও জরিমানা «» উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ): সম্পদ বিকাশই লক্ষ্য; পদে থাকা প্রার্থীদের আয় ১০ বছরে বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ শতাংশ: টিআইবি «» এই সরকারে আমলে জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে – মৌলভীবাজারে পুলিশের আইজিপি  «» সংবাদ সম্মেলন: ”বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন” প্রকাশ «» মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা «» স্থিতাবস্থা জারি থাকায় দ্বিতীয় ধাপে হচ্ছেনা মৌলভীবাজার সদরে নির্বাচন রাজনগর ২১ মে নির্বাচন «» বগুড়া  আদমদীঘিতে ইউএনও’র মত বিনিময় সভা 

সিলেটে স্ত্রীসহ দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সিলেটে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে হিফজুর রহমান (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নিজাম উদ্দিন।

তিনি জানান, এ রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি হিফজুর রহমানকে পৃথকভাবে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলোচিত এ হত্যা মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিফজুর রহমানের বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ জুন হিফজুর রহমান নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্ত্রী আলেমা বেগম, ছেলে মিজান (১১) ও মেয়ে আনিছাকে (৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার ঘটনায় আলেমা বেগমের বাবা আইয়ুব আলী অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ হিফজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিফজুর রহমান নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি আদালতেও হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক মামলার তদন্তের পর হিফজুর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৭ জুলাই সিলেট দায়রা জজ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হিফজুর বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে স্বপ্নে দেখতে পান স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে বড় বড় মাছ ও সাপ খেয়ে ফেলছে। এ সময় তাদের বাঁচানোর জন্য ঘরে থাকা বঁটি নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছেন। পরে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখতে পান স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

রায় পর্যবেক্ষণের পর আদালত উল্লেখ করেছেন, হিফজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে আংশিক অসত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করেননি।
(অনুলিখনঃ স’লিপক)