আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» বড়লেখায় ৯৭ পিস ইয়াবাসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার «» সিলেটের সিলাম-মোহাম্মদপুর সড়কের বাদশাহী টিলা মোড়ে পানি নিষ্কাশনের পথ খুলে দিলেন এসিল্যান্ড «» কমলগঞ্জের শমশেরনগরে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত «» ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান ও জরিমানা «» উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ): সম্পদ বিকাশই লক্ষ্য; পদে থাকা প্রার্থীদের আয় ১০ বছরে বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ শতাংশ: টিআইবি «» এই সরকারে আমলে জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে – মৌলভীবাজারে পুলিশের আইজিপি  «» সংবাদ সম্মেলন: ”বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন” প্রকাশ «» মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা «» স্থিতাবস্থা জারি থাকায় দ্বিতীয় ধাপে হচ্ছেনা মৌলভীবাজার সদরে নির্বাচন রাজনগর ২১ মে নির্বাচন «» বগুড়া  আদমদীঘিতে ইউএনও’র মত বিনিময় সভা 

সিসি টিভির ফুটেজে নেই গণপিটুনিট কোন আলামত : স্থানীয় কাউন্সিলর


মো.  সাহেদুজ্জামান, সিলেট প্রতিনিধি ।।  বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিন (৩৪) নামের এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ঘটনার প্রথম দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর ঘটনাটি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তবে পুলিশ যেখানে গণপিটুনির কথা বলছে, সিটি করপোরেশনের সিসি টিভি ফুটেজে ওই এলাকায় এমন কোনও ঘটনার সত্যতা মেলেনি। স্থানীয় কাউন্সিলর ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়ে এ দাবি করেছেন।
রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার গুলতেরা মঞ্জিলের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রবিবার (১১ অক্টোবর) এশার নামাজের পর তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

এদিকে কোতোয়ালি থানাধীন কাষ্টঘর এলাকায় কোনও ছিনতাই কিংবা গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম।
তিনি জানান, কাষ্টঘর এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরা যাচাই করে ছিনতাইয়ের ঘটনা কিংবা গণপিটুনির কোনও ঘটনা ফুটেজে ধরা পড়েনি। এমনকি ওই এলাকায় এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েও এমন ঘটনার কোনও সত্যতা মেলেনি।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, পুলিশ হেফাজতেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে এটা ইতোমধ্যে প্রতীয়মান। তার পরিবারের দাবি, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে রায়হান তার পিতাকে ফোন করেছিল। সে সময় সে ফাঁড়ি থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের দাবি করা টাকা চেয়ে ফোন করেছিল। তাহলে নিশ্চয় এর আগে তার ওপর নির্যাতন হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থেকে রায়হান ফোন দিয়েছে বিষয়টি পুলিশেরও জানা ছিল। এমনকি তার অবস্থান সম্পর্কেও সে পিতাকে জানায়। মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাছে খোঁজ নিলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, পুলিশ দাবি করছে সে ছিনতাই করার সময় গণপিটুনিতে মারা গেছে। তাই যদি হবে তাহলে পুলিশ প্রথমে রায়হানকে হাসপাতালে না নিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে গেল কেন? আমরা ন্যায়বিচার চাই। এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত রয়েছে। তাই এ ঘটনার অবশ্যই তদন্ত হতে হবে।
নিহতের মামাত ভাই জানান, নিহত রায়হানের পায়ে লাঠির একাধিক আঘাত ছিল। হাতের কয়েকটি নখ উল্টানো ছিল। তাকে পুলিশই নির্যাতন করে মেরেছে। 
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার জানান, নানা বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের একটি দল।