আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

৬ষ্ঠ দফা বন্যায় প্লাবিত গোয়াইনঘাট★

আবু তালহা তোফায়েল :: দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা সিলেটের গোয়াইনঘাট। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৬ষ্ঠ দফা বন্যায় প্লাবিত হয় এই উপজেলা। ধারাবাহিক ৪র্থ দফা বন্যায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই উপজেলার কৃষক ও খামারিরা মাথা গজিয়ে দাঁড়াবার প্রাণপণ চেষ্টা করে সফলতার মুখ দেখতে না দেখতেই আবারও আরও ২দফা বন্যায় শেষ আশাটুকুও নিরাশা আর হতাশায় রূপ নিয়েছে। আশ্বিনে আকস্মিক ২দফা বন্যা, যা এই উপজেলার মানুষের জন্য কালসাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে পিয়াইন, সারী, গোয়াইনের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ৬ষ্ঠ বারের মতো প্লাবিত এই উপজেলার ফসলের মাঠ ও ঘরবাড়ি। 
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা সিলেট শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উল্লেখ্য যে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় সব ক’টি সড়ক তলিয়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে । 
“তলিয়ে গেছে উপজেলার সিংহভাগ আমন ধান, আর শীতকালীন আগাম সবজির মাঠ। বিশেষ করে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি রয়েছে মাঠে রোপিত ১৫ হাজার ১শ’ ৭০ হেক্টর আমন ধান। আগামী দু-চার দিনের ভিতরে যদি বানের পানি সরে না যায় তবে তলিয়ে যাওয়া এসব ফসল বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা কৃষি বিভাগের। গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুলতান আলী জানান, গোয়াইনঘাটের বিভিন্নস্থান হতে রোপা আম ধান নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে যা জানা গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত সমূহ তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব জানান, এ পর্যন্ত গোয়াইনঘাটে ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবক’টি সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পেয়েছি। বন্যায় প্লাবিত এলাকার জনসাধারণের জন্য জরুরি ত্রাণ চেয়েছি, বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেথ বন্যার্তদের মধ্যে তা বণ্টন করা হবে।”