আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

জেলা পর্যায়ে সর্বশ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে


Ñ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঘোষণা দেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী

বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ যখন সংকটময় মুহুর্তে ঠিক তখন সারাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনোবল সুদৃঢ় রাখা, শক্তি-সাহস সঞ্চারিত করা এবং সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টিসহ শিল্প আন্দোলনে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ‘অৎঃ অমধরহংঃ ঈড়ৎড়হধ’ বা করোনার বিরুদ্ধে শিল্প কর্মসূচিটির ভাবনা ও পরিকল্পনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী মহোদয়। এই ভাবনা ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিলেটের জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত সিলেট থেকে প্রথম জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের আয়োজনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শিল্পআড্ডা শিরোনামে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে সম্প্রচারিত শিল্পআড্ডা অনুষ্ঠানটি গত ২৯ এপ্রিল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত টানা ৯২ দিন প্রতিদিন রাত ৮:৩০ থেকে এই কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়েছে। শোকাবহ আগস্ট মাসে শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণের লক্ষ্যে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হওয়ায় ১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর শিল্পআড্ডার ৯৩ থেকে ৯৯ পর্ব পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রখ্যাতশিল্পী এবং ৮টি বিভাগের গুণী ও শিশুশিল্পীর অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সমন্বয়ে গতকাল (২০ সেপ্টেম্বর) করোনার বিরুদ্ধে শিল্পআড্ডার ১০০তম পর্ব উদ্যাপন করা হয়। এতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আমন্ত্রিত অতিথিশিল্পী হিসেবে যুক্ত ছিলেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, ইংল্যান্ড থেকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, সিলেট থেকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, ভারত থেকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কণ্ঠসংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কঙ্কনা মিত্র (রায় চৌধুরী), কানাডা থেকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ড. মমতাজ মমতা, ময়মনসিংহ থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আলিফ লায়লা, বরিশাল থেকে বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ও সংগঠক কাজল ঘোষ, রংপুর থেকে বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পী খন্দকার মোহাম্মদ আলী স¤্রাট, কুমিল্লা থেকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী শিউলি রায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গম্ভীরা দলের সদস্য শিতেষ সিংহ ও ঋত্তিক কুমার সিংহ এবং খুলনা থেকে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ ২০১৩ চ্যাম্পিয়ান ফাইরুজ মালিহা ও চ্যানেল আই গানের রাজা ২০১৯ চ্যাম্পিয়ান ফাইরুজ লাবিবা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রশিক্ষক প্রতিভা রায় কেয়ার পরিচালনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে নৃত্যালেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’। শততম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট ‘অৎঃ অমধরহংঃ ঈড়ৎড়হধ’ শিরোনামে যে শিল্প আন্দোলনটির শততম পর্বটি আজ উদ্যাপিত হলো সেটি একটি ইতিহাস হবে। আমি ঘোষণাই দিতে পারি এই আন্দোলনে জেলা পর্যায়ে সর্বশ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে পুরস্কৃত করা হবে এবং সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি যে কার্যক্রমটি করলো সেটি অন্য সকল জেলার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে’। জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সঞ্চালনায় এক থেকে শততম পর্ব পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের গুণী শিল্পীবৃন্দ, সিলেটসহ দেশের প্রায় সকল জেলার গুণীশিল্পীগণ, দেশের বাইরের ৫/৬টি দেশের গুণীশিল্পীগণ। এছাড়াও শিশুশিল্পী, তরুণ শিল্পী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের শিল্পী, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং তারকা শিল্পীগণও যুক্ত হয়েছিলেন। সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, যন্ত্রসংগীত ও শ্রুতি নাটকের মাধ্যমে শিল্পরসে সিক্ত হয়েছেন অসংখ্য গুণমুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা। টানা ১০০টি পর্ব আয়োজন ও সফলভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী গুণীশিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, দর্শক-শ্রোতাসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন একাডেমি কর্তৃপক্ষ।