আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» গ্লোবাল জাালাবাদ এসোসিয়েশনের ভ্যাচুয়ালি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন «» শমশেরনগর হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিতে দাতা সদস্যদের সাথে লন্ডনে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» সিলেটের জৈন্তায় বজ্রপাতে মসজিদের ইমামের মৃত্যু «» বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা «» গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত «» সত্য প্রকাশ আপোষহীন -সংবাদ ও সাংবাদিকতায় ইসলামের নির্দেশনা____মোয়াজ্জেম চৌধুরী «» গ্রেটার সিলেট ইউকের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডার্স ট্রেজারার এর সাথে সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত «» ভারতে আলোর দিশারী হযরত মুহাম্মদ স. গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন «» মৌলভীবাজারে গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত «» আর নয় বৃদ্ধাশ্রম-কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী, পেনশন স্কিমে সবাই মাতি

কমলগঞ্জে স্পিডে বিষ মিশিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ- আহত ৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্ধুর দেওয়া কোমল পানীয় স্পিড পান করে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১টায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমাঘাট এলাকায় সরজমিন খোঁজ নিয়ে ও লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত নয়টায় কুরমাঘাট আওয়ামীলীগ অফিসে একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, ভান্ডারীগাঁও গ্রামের মোঃ আফজল মিয়া, নবাব মিয়া, কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে শাহিন পার্শ্ববর্তী কুরমাঘাট বাজারের তাজ উদ্দিনের দোকান থেকে ছিপি খোলা অবস্থায় ৩টি কোমল পানীয় স্পিড পান করার জন্য দেয়। স্পিড পান করার সময় বিষাক্ত গন্ধ পেলে শাহীনকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে দৌড়াইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্পিড পানের পরপর আফজলসহ তার বন্ধুরা ছটফট করে এবং বমি করে। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আফজল মিয়া ও নবাব মিয়াকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগকারী আহত আফজল মিয়া বলেন, তাদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে শাহিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে সকলের অগোচরে স্পিডের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়। অভিযুক্ত শাহিন মিয়ার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বন্ধুদেরকে স্পিড খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মিত কুরমাঘাটে বসে চা পান খেয়ে আড্ডা দেই। স্পিড খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে বমি করার পর আমি তাদের হাসপাতালে পাঠানোর উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে দেই। কিন্তু বিষ মিশিয়ে স্পিড খাওয়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে তিনি মনে করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবী করছি। তবে ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, কোমল পানীয় স্পিডে বিষ মেশানো নয় বরং অন্য কোন কারণে ফুড পয়জনিং হতে পারে। কমলগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সবুজ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তক্রমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।