আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» উপজেলা নির্বাচনে কামাল হোসেন ও তাজুল ইসলাম তাজ উভয়ের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা «» মৌলভীবাজারে রিসার্চ ইনেসিয়েটিভ বাংলাদেশ রিইব এর তথ্য ও অধিকার আইন নিয়ে কর্মশালা ও সংলাপ অনুষ্ঠিত «» গ্লোবাল জাালাবাদ এসোসিয়েশনের ভ্যাচুয়ালি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন «» শমশেরনগর হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিতে দাতা সদস্যদের সাথে লন্ডনে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» সিলেটের জৈন্তায় বজ্রপাতে মসজিদের ইমামের মৃত্যু «» বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা «» গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত «» সত্য প্রকাশ আপোষহীন -সংবাদ ও সাংবাদিকতায় ইসলামের নির্দেশনা____মোয়াজ্জেম চৌধুরী «» গ্রেটার সিলেট ইউকের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডার্স ট্রেজারার এর সাথে সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত «» ভারতে আলোর দিশারী হযরত মুহাম্মদ স. গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

গীবত ঈমান-আমলকে বিনষ্ট করে-ইমাদ উদ্দিন হাসান

দীপ্ত নিউজ ডটকম : ইসলামের দৃষ্টিতে গীবত একটি নিন্দনীয় অপরাধ। ব্যভিচারের চেয়েও বড় গোনাহ। এতে শুধু আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন না, বরং মানুষ নেকী থেকেও বঞ্চিত হয়। আল্লাহ এরশাদ করেন-তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি স্বীয় মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। (সূরা হুজুরাত : ১২)।

 

হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন তোমরা গীবত বা পরনিন্দা করা থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ তাতে তিনটি ক্ষতি রয়েছে, প্রথমত গীবতকারীর দোয়া কবুল হয় না। দ্বিতীয়ত গীবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না এবং তৃতীয়ত আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হয়ে থাকে। (বুখারি : ২৮৩৭)।

 

আজকাল মানুষ সবসময় মানুষের গীবত করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রাস্তা ঘাটে, মাঠে,বাজারে প্রতিটায় জায়গায় অন্যের বদনাম আর দোষ বর্ণনায় লিপ্ত। অথচ নিজের দোষের শেষ নেই, সেদিকে তার সামান্যতমও খেয়াল নেই। দুজন ব্যক্তি এক জায়গায় হলেই গীবত আর শেকায়ত নিয়ে পরে রয়। একটি ঘটনা বলি যার দ্বারা আপনারা বুঝতে পারবেন গীবতের দ্বারা কিভাবে মানুষের নেকীর ক্ষতি হয়। হজরত হাসান বসরী(রহঃ) এর জীবনের একটি ঘটনা। একদিন এক ব্যক্তি এসে থাকে বলল অমুক ব্যাক্তি আপনার গীবত করেছে। হজরত হাসান বসরী (রহঃ) সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি তাজা খেজুর আনলেন এবং একটি প্লেটে করে হাদিয়া হিসাবে ঐ ব্যাক্তির নিকট পাঠিয়ে দিলেন। সাথে চিরকুটে একথা লিখে পাঠালেন আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। কেননা আপনি গীবত করে আপনার পূণ্যগুলো আমার আমলনামায় স্থানান্তরিত করেছেন। আপনার এই দয়ার প্রতিদান তো আমি আর দিতে পারছি না। তাই এই সামান্য হাদিয়া গ্রহন করলে খুশি হব।

 

এই ঘটনা থেকে মুসলিম ভাই-বোনেরা আমরা বুঝতে পারি যে, গীবত বা পরনিন্দা দ্বারা গীবতকারীর নেকী তাকে দেওয়া হয় যার গীবত করা হয়েছে। আর যদি নেকী না থাকে তবে সেই ব্যাক্তির গোনাহ গীবতকারীর আমলনামায় যোগ করা হয়।তাই মুসলিম ভাই-বোনেরা সতর্ক হোন। গীবত করা ছেড়ে দিন। গীবত থেকে বেঁচে থাকা আমাদের কর্তব্য।

 

আল্লাহ তাআলা সবাইকে গীবতের কুফল অনুধাবন করে এসব নিন্দনীয় কাজ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

লেখক : মাদরাসা শিক্ষার্থী।