আজ-  ,


সময় শিরোনাম:
«» কমলগঞ্জে শতভূজা বাসন্তী পূজা সমাপ্ত «» কমলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন «» ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ বিশ্বনাথ উপজেলার কাউন্সিল সম্পন্ন «» শ্রীমঙ্গল শ্রী শ্রী গৌরি শংকর বাবার আশ্রমে বাসন্তী ও দশমহাবিদ্যা মায়ের পুজা অনুষ্ঠিত «» মৌলভীবাজার পৌরসভার দক্ষিণ বড়কাপন জামে মসজিদের রাস্তা ও ড্রেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন «» নওগাঁয় সড়কে প্রাণ গেল বাবা-মার,হাসপাতালে ছেলে «» বগুড়া আদমদিঘীতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত «» ২২ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২, «» আধুনিক বিশ্বে ইসলামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দকে আল্লাহ কবুল করেছেন: গোয়াইনঘাটের সমাবেশে বক্তারা ★ «» নওগাঁয় ঈদ পুনর্মিলনী বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলের শীতার্ত মানুষের একমাত্র আস্তা সাইফুর রহমান পৌর সুপার মাকের্ট

শ্রীমঙ্গল থেকে মু রিমন ইসলাম”

মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে শীত ও কুয়াশা পড়তে শুরু করার সাথে প্রতিনিয়ত মানুষ ভীড় জমাচ্ছে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য সাইফুর রহমান পৌর সুপার মাকের্ট সহ শহরের বিভিন্ন পুটপাতের দোকান গুলোতে। বড় দোকান গুলোতে উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্তরা ভীড় জমাচ্ছে।নিন্ম আয়ের মানুষেরা রাস্তার পাশে ফুটপাত ও হকার্স দোকানীর কাছে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষভাবে লক্ষনীয় মৌসুম ভিত্তিক দোকান গুলোতে শীতের কাপড় কেনা-বেচা পুরোদমে চলছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে,শহরের সব থেকে শীত বস্ত্রে বড় বাজার সাইফুর রহমান পৌর সুপার মাকের্ট।এখানে প্রায় ৩০০ টি দোকান আছে এর মধ্যে ২০০-২৫০ টি দোকানেই শীতবস্ত্র বিক্রয় হয়ে থাকে।এছাড়া ও শহরের আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুম ভিত্তিক শীতবস্ত্র বিক্রেতারা শীতের গরম কাপড় বিক্রয় করে থাকে।বড় বড় দোকানে তো আছেই।প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত এই দোকান গুলোতে চলে বেচা-কেনা।প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রয়ের অবস্থা বেশি ভাল হয়।
দোকান গুলোতে নিম্মবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভীড় করেন।কারণ মৌসুমের শুরুতেই শীত পড়তে শুরু করাই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় হচ্ছে এই দোকান গুলোতে।গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়তে থাকায় প্রচন্ড শীত থেকে মানুষ একটু গরম পাওয়ার আশায় আগে ভাগেই ভীড় জমাচ্ছে বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান পর্যন্ত।ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষনে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা।শুরুতেই শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় তারা ঢাকা ও চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে দেশী-বিদেশী হরেক ডিজাইনের শীতের পোশাকের গাঁইট নিয়ে আসছে বলে জানা যায়।এখানের দোকান গুলোতে পুরনো সব রকমের পোশাকের কদর বেশী।পুরনো এসব পোশাক যথেষ্ট সস্তা এবং বেশ শীত নিবারণ দায়ক বলে অনেকের ধারণা।সর্বনিম্ম ৫০ থেকে ৫০০শ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড় পাওয়া যায়।গাঁইটে যেসব ভাল জ্যাকেট,সোয়েটার,কোট,বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায় সেগুলোর দাম একটু তুলনা মূলক বেশি হয়।দোকানীরা পোশাকের গাঁইট ক্রয় করেন ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। মুখবন্ধ এসব গাঁইট কেনার আগে খুলে দেখার নিয়ম নেই।বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতি গাঁইট কিনে আনা হয় ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে।কিনে আনার পরে মুখ খুলে নির্ধারণ করা হয় লাভ-লোকসানের হিসাব। পোশাকগুলো গাঁইট থেকে বের করার পর দাম হাকেন বিক্রেতারা।কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। গাঁইট থেকে বেরিয়ে আসা বিদেশী পুরনো পোশাকটি ক্রেতার খুব পছন্দ হয়ে গেলে তা বুঝতে পারেন চতুর দোকানীরা। সে অনুযায়ী দাম হাঁকা হয়।ক্রেতাদের কাবু করতে পারলে টাকার পরিমান বেড়ে যায়।এসব দোকানের বিক্রেতারা পোশাকের দাম নির্ধারণ করেন।তবে দর কশাকশি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না।সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়।যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন।সাইফুর রহমান পৌর সুপার মার্কেট কমিটিরি সভাপতি এবং এই মার্কেটের সব থেকে বড় গাঁইট ব্যাবসায়ী জসিম মাঝি জানান,সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে এসব দোকান গুলোতে।গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়।ভাগ্যের উপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান।যদি ভাগ্যে ছেঁড়া ফুটো পোশাক পড়ে তাহলে লাভ উঠতে অনেক কষ্ট হয়। কারণ ভাল পোশাক গুলো ক্রেতারা নিতে চায়।বাকী ছেঁড়া পোশাক গুলো ফেলে রাখতে হয়।ক্রেতারা এগুলো ভাল করে দেখে কেনেন।এসব পোশাক গুলো সাধারণত পুরনো পোশাকের মত হয়ে থাকে।ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে এসব শীতবস্ত্র আনা হয়।একটি গাঁইট ১৫ হাজার থেকে প্রায় ৫০ হাজর টাকা দিয়ে কিনে আনা হয়।একটি সোয়াটারের দাম ১২০-৩০০, গেঞ্জি ৭০-১৫০, জ্যাকেট ২৫০-৫০০, বাচ্চাদের কাপড় ৩০-২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে,মাফলার ৩০-১০০ টাকা তার মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করেণ নিম্মবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা।এ বছর শীতের পোশাকের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বাড়ছে।দৈনিক ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়।আশা করি এ বছর দোকানে শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়বে এবং বিক্রয় আরো বেশি হবে।