আজ-  ,


সময় শিরোনাম:

প্রতিভাবান ক্রিকেটার রুমি কি ইচ্ছা পূরণ হবে ?

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি (ফটোযুক্ত)
অভাবের সংসারে জন্মনেয়া এক হতভাগির নাম জামিলা আক্তার রুমি। সে রাউৎগাঁও ইউনিয়ের নর্তন গ্রামের সিএনজি চালক আব্দুল মন্নান ও গৃহিণী নুরুননাহার এর ৩য় সন্তান। সে ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় ছিল তার অনেক আগ্রহ। আর সে আগ্রহ থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে মা-বাবা সবসময় ছিলেন তার পাশে, সাধ্য অনুসারে যোগান দিয়ে গেছেন তার চাহিদার। যখন রুমি রাউৎগাঁও এর নর্তন গ্রাম থেকে ঢাকার মিরপুরের মেট্রো ক্রিকেট একাডেমিতে কোচিং করছে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য, ঠিক সেই মুহূর্তেই তার যোগান দাতা মা-বাবা দুইজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকভরা স্বপ্ন আজ চোখের জলে ভাসছে, রুমির সেই স্বপ্ন কি ঝরে পড়ে যাবে? কুলাউড়ার নর্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে একই ইউনিয়নের মাস্টার শরাফত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে বর্তমানে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগে অধ্যয়নরত। সে ২০১৬ সালে কুলাউড়ায় ব্লু-কিংস ক্রিকেট একাডেমি থেকে ক্রিকেট খেলার যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২ মাস ঢাকার ইন্দিরা রোড ক্রিকেট একাডেমির হয়ে ঢাকা ১ম বিভাগ লীগে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে। বর্তমানে মিরপুরের মেট্রো ক্রিকেট একাডেমিতে কোচিং করছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে রুমির কোচিং ফি ও ঢাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার এখন আর কোন সুযোগ নেই। কারণ তার মা-বাবা দুজনই অসুস্থ এবং তাদের চিকিৎসার জন্যই এখন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অসুস্থ অবস্থায়ও পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-বেলা দু মুটো ভাত দেওয়ার জন্য ভাড়ায় চালিত সিএনজি নিয়ে বাহির হন আব্দুল মন্নান। আর যা আয় করেন সেখান থেকে মেয়েকে যোগান দেওয়া তো দূরের কথা পরিবার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া কুলাউড়ার এই মেধাবী ক্রিকেটার তার স্বপ্ন পূরণ থেকে কি ঝরে পরে পড়বে। হায়রে নিয়তি…। এ ব্যাপারে আবেগ আপ্লুত হয়ে রুমি জানান, বিসিবির দুই পরিচালকসহ কুলাউড়া বৃত্তবানরা যদি আমাকে সহযোগিতা করে তাহলে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।